ধান-পাট-তিল! সব শেষ একরাতের শিলাবৃষ্টিতেই , ক্ষতিপূরণ মিলবে কি? প্রশ্ন উঠছে চাষিদের মনে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : আবহাওয়া দফতররের পূর্বাভাস ছিলই। তা সত্য়ি করেই বিগত কয়েকদিনই কলকাত-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই কমে গিয়েছে তাপমাত্রা। কিন্তু, একটানা বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষিদের। একাধিক জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টিও দেখা গিয়েছে। তাতেই সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে ধান, পাট, তিল থেকে সাধারণ সবজি চাষে। একই ছবি হুগলির পোলবা-দাদপুরেও।

ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পোলবার আমনান গ্রাম পঞ্চায়েতের বীরেন্দ্রনগর, ডাকাতিয়া ভেরি, নতুন ভেরি, ডুবির ভেরি সহ একাধিক এলাকায়। ও পার্শ্ববর্তী হারিট গ্রাম পঞ্চায়েতের পয়ান প্রেমনগর, মথুরপুরেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কয়েকদিনই বিকাল-সন্ধ্যা নাগাদ বৃষ্টি চলছিল। সোমবার রাতে কালবৈশাখীর সঙ্গে শিলাবৃষ্টিও হয়। তাতেই ফলন্ত ধান গাছের শিস একেবারে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
এদিকে বীরেন্দ্রনগরে ১৯ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছিলেন গোবিন্দ কোলে। সঙ্গে ৯ বিঘা জমিতে তিল চাষ। এছাড়াও ঝিঙে, শসা, বেগুন চাষ করেছিলেন। একরাতের শিলা বৃষ্টি সব শেষ করে দিয়েছে। জগন্নাথ দেশি নামে এলাকার আর এক চাষি বলেন, “এত শিল পড়েছে যে জমিতে ধান বলে আর কিছু নেই। কীভাবে এই ক্ষতি সামাল দেওয়া হবে জানি না।” অন্যদিকে প্রসাসনিক সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ব্লক কৃষি আধিকারিক এবং ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা চাষের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হিসাব করছেন। যাদের ফসল বীমা করানো আছে তারা বীমার টাকা পাবেন। কিন্তু, যাঁদের তা করা নিয়ে তাঁদের কীভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া যায় তা ভাবা হচ্ছে।