পঞ্চায়েত চিন্তিত ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরের খরচ নিয়ে, মিলছে না এমনকি শিবির আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থও
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ইতিমধ্যেই এ রাজ্যে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প চলছে একরকম রমরমিয়ে। এই শিবির চলছে এমনকি প্রতিটি পঞ্চায়েতেও। এই প্রকল্পের সাফল্য কতটা তা বোঝাই যাচ্ছে মানুষের ব্যাপক উচ্ছ্বাস দেখে। কিন্তু বহু পঞ্চায়েত এবং ব্লক প্রশাসনের কর্মকর্তারা বেশ চিন্তিত তার খরচ নিয়েও। একই সঙ্গে শিবিরে থাকা আধিকারিকদের দৈনন্দিন কাজও ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। পূর্ব বর্ধমানে পঞ্চায়েতের সংখ্যা ২১৫। পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনের একাংশের দাবি, বিপুল পরিমানে টাকা খরচ হয়েছে শিবির আয়োজনের জন্য। এখনও সেই টাকা মেলেনি এমনকি প্রশাসনের উচ্চ স্তর থেকেও। পূর্ব বর্ধমানের একাধিক বিডিও টাকার আবেদন করেছেন এমনকি মহকুমা ও জেলা প্রশাসনের কাছেও।
এদিকে কয়েক জন বিডিও-র অভিযোগ, পঞ্চায়েতগুলি ব্লকে আবেদন করছে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরের খরচ চেয়ে। তা জানানো হয়েছে এমনকি জেলা প্রশাসনকেও। কিন্তু এ -বিষয় কোনও মন্তব্য করেননি জেলাশাসক প্রিয়ঙ্কা সিংলা। মেমারির আমাদপুরের তৃণমূল নেতাদের দাবি, ‘শিবির করতে খরচ হচ্ছে অনেক। হাল ভাল নয় এমনকি তহবিলেরও। তাই নিয়মিত টাকা চাইছি বিডিও-র কাছেই। কম-বেশি লাগবে তিন লক্ষ টাকাও।’
উল্লেখ্য, বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগ হাজির ছিলেন গত বুধবার খণ্ডঘোষের শাঁকারি ১ পঞ্চায়েতের পলেমপুরে ‘দুয়ারে সরকার’-এর শিবিরে। তাঁর কথায়, ‘মানুষের সুবিধে-অসুবিধে দেখতে গিয়েছিলাম। অনেকেই যাচ্ছেন।’ যদিও ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, ব্লক অফিস কার্যত ফাঁকা থাকছে ব্লক প্রশাসনের কর্তারা শিবিরে যাওয়ায়। আটকে যাচ্ছে এমনকি দৈনন্দিন কাজ কর্মও।