বিশ্ব শ্রবন দিবস উপলক্ষে অভিনব আলোচনাসভা আয়োজিত হল কলকাতা প্রেস ক্লাবে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : আজ ৩রা মার্চ বিশ্ব শ্রবণ দিবস। কানে কম শোনা বা বধিরতা একটি ক্রমবর্তমান বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্য সমস্যা। বধিরতা প্রতিরোধ, কানের ও শোনার যন্ত্রের উপর জোর নিতে বিশ্ব উদ্যোগে বরাবরের মতন এবছরেও আজ সারা পৃথিবী জুড়ে বিশ্ব শ্রবণ দিবস পালন করা হবে।। এবারের দিন হল “সকলের জন্য কানের ও শোনার যত্ন”, এই উপলক্ষে গতকাল ২রা মার্চ, বৃহস্পতিবার প্রেস ক্লাব কোলকাতায় সামাজিক সংগঠন ‘অন্বেষা কলকাতা’-র উদ্যোগে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। অন্বেষা কোবিশ্ব শ্রবন দিবস উপলক্ষে অভিনব আলোচনাসভা আয়োজিত হল কলকাতা প্রেস ক্লাবে
লকাতার তরফে সম্পাদিকা শ্রীমতী স্নিগ্ধা সরকার জানান, কান এবং শোনার সমস্যা হলো সবচেয়ে সাধারণ সমস্যাগুলির মধ্যে একটি। কান এবং শোনার যত্নের প্রয়োজনীয়তার ৬০% এরও বেশি চাহিদা পূরণ হতে পারে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবার মাধ্যমেই। অথচ স্রেফ সচেতনতার অভাবে এ-ব্যাপারে আমরা বেশিরভাগ মানুষই অসচেতন থাকি।
অনুষ্ঠানে বেশকিছু বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। যেমন প্রাথমিক পরিচর্যা পরিষেবাগুলিতে কানের এবং শোনার যত্নকে সংযুক্তি বা একত্র করা দরকার। এই স্তরে প্রশিক্ষণ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি করা সম্ভব। এই ধরনের সংযুক্তিকরণ জনগণকে উপকৃত করবে এবং দেশগুলিকে সার্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
এই সভায় মুখ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এম ভি কে মেনন এবং ডাঃ স্নেহাশিস বর্মা।অন্বেষা কলকাতা একটি শ্রবণ সমস্যাযুক্ত শিশু ও অভিভাবকদের সংস্থা। বধিরভাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিহ্নিত করে সঠিক হিয়ারিং এড পড়িয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই অন্বেষার আলি ইন্টারভেনশন প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য। এখানে ০-৬ বছর পর্যন্ত শিশুতে বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সাধারণ বিদ্যালয়ে পঠনের উপযোগী করে তোলা হয়।
ভাষার বিকাশ ইশারা / সাংকেতিক ভাষা, উচ্চারণকে সঠিকভাবে সংশোধন করা এবং জীবনৈ
বিকাশ ঘটানোর চর্চার জন্য অন্বেষা সাপ্তাহিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে।অন্বেষা কলকাতা প্রতি বছর নানা কর্মসূচির মাধ্যমে সমাজসচেতনা তৈরীর কাজ করে। অন্বেষা প্রতিবন্ধকতা নিয়ে কাজ করে এমন সংগঠন ও বিভিন্ন সরকারি সংস্থার সাথে সম্মিলিত ভাবে বিভিন্ন স্তরে কাজ করে।
অন্বেষা কলকাতা বধির শিশুর মা বাবাকে প্রাথমিক স্তরে মানসিক সহায়তা দান করে এবং অভিভাবক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের ভবিষ্যত কর্মপন্থার উপযুক্ত করে তোলে যাতে তারা সন্তানের বধিরতাকে মেনে নিয়ে তাদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে সমাজের উৎপাদনশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন। অন্বেষা কলকাতা বিশ্বাস করে শীঘ্র সনাক্তকরণ ও সঠিক ব্যবস্থাগ্রহণ হলে শ্রবনক্ষমতা হ্রাসপ্রাপ্ত শিশু উচ্চশিক্ষা লাভ করতে পারে, স্বনির্ভর হতে পারে এবং নিজেদের অধিকারের জন্য লড়াই করতে পারে। তাই অন্বেষা পশ্চিমবঙ্গের নানা জেলায় অন্যান্য অভিভাবক সংস্থার সাথে সচেতনা বিস্তার ও অভিভাবক প্রশিক্ষণের জন্যেও কাজ করে।
সেরা অভিভাবক সংস্থা হিসাবে অন্বেষা কলকাতা দুবার রাজ্যে পুরস্কার পেয়েছে ২০১১ ও ২০১৪ সালে। এছাড়াও নীলম ভাণ্ডারী হিউম্যানিটি সম্মান রোটারী ক্লাব অফ ক্যালক স্বামী স্মৃতি নর নারায়ণ সেবা, টেলিগ্রাফ এডুকেশন ফাউলেশন মহাশ্বেতা দেবী মেমোরিয়াল পুরস্কারে সম্মানিত।