উত্তরপ্রদেশ আদালত অভিযুক্ত ৩ জনকে বেকসুর মুক্তি দিল হাথরাস গণধর্ষণকাণ্ডে , দোষী সাব্যস্ত ১

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : গোটা দেশ মূলত ব্যাপক উত্তাল হয়ে উঠেছিল হাথরাস গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড নিয়ে। ঘটনার দু-বছর পর এবার উত্তরপ্রদেশ আদালত এই হাথরাস গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত ৩ জনকে বেকসুর মুক্তি দিল। আদালত কেবল ১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে । যা নিয়ে ফের বিতর্ক শুরু হয়েছে নতুন করেই।

এদিকে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, হাথরাস গণধর্ষণকাণ্ডে সন্দীপ ঠাকুর দোষী সাব্যস্ত হয়েছে অভিযুক্ত ৪ জনের মধ্যে। বাকি তিনজন, সন্দীপের কাকা রবি, এবং তাদের বন্ধু লব কুশ ও রামুকে বেকসুর মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যদিও চার্জ কম ছিল সন্দীপ ঠাকুরের বিরুদ্ধে। এই মামলায় ধর্ষণ বা খুনের ঘটনায় তার নাম ছিল না বলে জানিয়েছেন আদালতের এক আধিকারিক।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ঘটেছিল নৃশংস এই ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি। ২০ বছরের এক দলিত তরুণী মাঠে ঘাস কাটছিলেন মা ও ভাইয়ের সঙ্গে। সেই সময়ই তাঁকে গণধর্ষণ করা হয় সেখান থেকে টেনে-হেঁচড়ে নিয়ে গিয়ে । তাঁকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যারও চেষ্টা করা হয় গণধর্ষণের পর । চিকিৎসকেরা আরও জানান, তরুণীকে এমনভাবে কোপানো হয়েছিল যে, পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল তাঁর গলা এবং হাত। শ্বাসও নিতে পারছিলেন না। তারপর ১৫ দিন ধরে দিল্লির হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর তরুণীর মৃত্যু হয়। গোটা ঘটনার তদন্তে অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতিরও । এমনকি অভিযোগ ওঠে তরুণীর পরিবারকে ঘরে বন্দি করে রাতের অন্ধকারে পুলিশই তাঁর দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে বলে। এরপর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে নির্যাতিতার দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ধরা পড়লেওজানানো হয় ধর্ষণের কোনও প্রমাণ মেলেনি বলে । যা নিয়ে পরে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ। অবশেষে চাপের মুখে পড় যোগী সরকার এই ঘটনায় সিট গঠন করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *