“লক্ষীর ভান্ডারে আমরা যেই টাকা দিই কোন রাজ্য তা দেয় না”, উত্তরবঙ্গ সফরে এসে বাগডোগরাতে এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
নিজস্ব সংবাদদাতা : উত্তরবঙ্গ সফরে এসে বাগডোগরা এয়ারপোর্টে নেমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, রাজ্য সরকার লক্ষীর ভান্ডারের জন্য যে টাকা দেয়, অন্য কোন রাজ্য তা দেয় না। আমরা মানুষের কথা চিন্তা করি , তাই টাকা দি, শত অসুবিধা হলেও আমরা পিছু হাটি না।। এদিন বাগডোগরা বিমানবন্দরে এসে দার্জিলিং রওনা দেওয়ার আগে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক হাত নিলেন , বিজেপি এবং সিপিএমকেও । বিজেপির কাজ নির্বাচনের আগে কুৎসা রটানো, আর মানুষকে বিভ্রান্ত করে দেওয়া, লোকসভা নির্বাচনেই ওরা বুঝতে পেরে গেছে, বাংলার মানুষ ওদের ভোট দেয় না। তা সত্ত্বেও ওরা আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে চলছে, অবশ্যই এতে কোন কাজ হবে না।
এদিন তিনি আরও বলেন আরজিকর নিয়ে নোংরা খেলায় মেতেছিল বিজেপি, সঙ্গে ছিল সিপিএম , ওরা ভেবেছিল মানুষ সব ভুলে ওদের পাশে গিয়ে দাঁড়াবে, কিন্তু ওদের চিন্তা ছিল ভুল, কারণ ওরা নিজেদের সর্বেসর্বা ভাবছিল। মানুষ তা হতে দিল না, আমাকে সরিয়ে ওরা নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে , কিন্তু বাংলার মানুষ তো সেটা চায় না। এদিন দার্জিলিং রওনা হওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান , পরশু ভোট হাত তৃণমূল কংগ্রেস সবকটি আসনেই জয়লাভ করবে, কারণ মানুষ আমাদের ভোট দেবে। ভোট আসার আগে বিজেপি এবং সিপিএম নানাভাবে মানুষকে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করে, কিন্তু প্রতিবারই ওরা ব্যর্থ হয়। মানুষের কাছ থেকে বিশ্বাস অর্জন করা অতটা সোজা না, আমি তিল তিল করে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করেছি। ওটা ওরা ভাঙতে চাইছে, কিন্তু মানুষ ওটা হতে দেবে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সন্ধ্যায় দার্জিলিং এর ম্যাল এ সরস-মেলার উদ্বোধন করেন । উত্তরবঙ্গের নেতাদের নিয়ে নতুন করে চিন্তা ভাবনা করতে চান মুখ্যমন্ত্রী, নিজের ঘনিষ্ঠ মহলে ঠিক তেমনটাই তিনি জানিয়েছেন। পাহাড়ের রাজনীতি নিয়েও তিনি খুব একটা সন্তুষ্ট নন, এমনটাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, এত কিছু করা সত্ত্বেও , পাহাড়ের মানুষ কেন ভোট দিচ্ছে না ? এটাই পাহাড়ের নেতৃত্বের কাছে জানতে চাইবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী দিনে পাহাড়ের নেতৃত্ব ঠিক কার হাতে থাকবে? সেটাও ঠিক করবেন মুখ্যমন্ত্রী।