সুপারি কিলার ভাড়া খোদ নিজের মেয়েকেই খুন করতে, বিহারের প্রাক্তন বিধায়ক অবশেষে পুলিশের জালে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : অনারকিলিং যে এখনও সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বসবাস করছে সামনে এল তার আরও এক জ্বলন্ত উদাহরণ। এই জাতপাত বংশমর্যাদার মোহ যে একজনকে কতটা অন্ধ অবিবেচক করে তোলে, এই ঘটনা তারই জ্বলন্ত প্রমাণ । বলতে গেলে রীতিমতো চাঞ্চল্য ফেলে দিয়েছে বিহারের প্রাক্তন বিধায়কের গ্রেফতারির এই ঘটনা ।
জানা গেছে, প্রাক্তন বিধায়ক সুরেন্দ্র শর্মা খুনের পরিকল্পনা করেছিল তার নিজের মেয়েকেই। এই কারণে তিনি এক সুপারি কিলারের সঙ্গে যোগাযোগ করে, তার সঙ্গে সুপারি কিলারের একটি চুক্তিও হয়।এমনকি বিধায়ক ওই সুপারি কিলারকে তার মেয়েকে খুন করার জন্য খুনের সুপারিও দেন। এদিকে বিধায়কের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী তার লোকেরা তার মেয়েকে খুন করার চক্রান্ত করেছিল। কিন্তু, গুলি একটুর জন্য লক্ষভ্রষ্ট হয়ে যায়।
এই ঘটনার পর বিধায়ক কন্যা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে। তার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিষেক নামক একজনকে আটক করে। এদিকে পুলিশি জেরায় অভিষেক এও জানায় যে সে ২০ লক্ষ টাকা নিয়েছিল এই ঘটনার জন্য। সেই সঙ্গে সে আরও জানায় যে এই খুনের বরাত দিয়েছিল মহিলার বাবা সুরেন্দ্র শর্মা ।অভিষেক পুলিশকে তথ্য দেয় সুরেন্দ্র শর্মা একজন প্রাক্তন বিধায়ক বলেও । ১৯৯০ সালে সারণ জেলা থেকে সুরেন্দ্র শর্মা বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিল। নির্দল প্রার্থী হয়েই শর্মা সেবার ভোটে দাঁড়িয়েছিল। বিহারের এই প্রাক্তন বিধায়কও একটা সময় দাগী দুষ্কৃতী হিসাবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন বলেও অভিষেক পুলিশকে তথ্য দিয়েছে ।
কী কারণে মেয়েকে খুনের পরিকল্পনা
জানা গেছে পাটনা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তা প্রমোদ কুমার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বাবার অমতে মেয়ে অন্যত্র বিয়ে করেছিল। সুরেন্দ্র শর্মা এটা মেনে নিতে পারেনি। আর সেই কারণেই নাকি খুনের ষড়যন্ত্র করেছিলেন মেয়েকে। আর একজন্য সুপারি কিলার ভাড়াও করেছিলেন ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে । দুষ্কৃতী অভিষেকের ডেরা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৩টে দেশি পিস্তল, প্রচুর পরিমাণে কার্তুজ, একটা নম্বরপ্লেটহীন মোটরবাইকও। এরপরই অভিষেকের দেওয়া বয়ানের ভিত্তিতে পাটনা পুলিশ বিহারের প্রাক্তন বিধায়ক সুরেন্দ্র শর্মাকে গ্রেফতার করে। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে নিজের মেয়েকেই খুনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ । যদিও, এই ঘটনা নিয়ে সুরেন্দ্র শর্মার মেয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে আসেননি। এমনকি পুলিশও গোপন রেখেছে তাঁর নাম ও পরিচয়।