স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিতে অস্বীকার বেসরকারি হাসপাতালের, অবশেষে তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
বেস্ট কলকাতা নিউজ : স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও বারাসতের বেসরকারি হাসপাতাল চিকিৎসা পরিষেবা না-দেওয়ায় এবার চরম ক্ষুব্ধ হল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ এদিকে এই ঘটনায় পুলিশকে তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ মহাশয়৷ জানা গেছে চলতি বছরের ৩ জুন কিডনির জটিল সমস্যায় আক্রান্ত স্ত্রীকে নিয়ে বারাসতের বেসরকারি হাসপাতালে যান আইনজীবী গৌরাঙ্গ পাল ৷ তিনি ও তাঁর স্ত্রী, দু’জনেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হোল্ডার ৷ অভিযোগ, প্রথমে ভর্তি নিলেও কয়েকদিনের মধ্যেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড এখানে গ্রহণযোগ্য নয় । তারপর প্রায় তিন লক্ষ টাকার বিল ধরিয়ে দেওয়া হয় আইনজীবীকে। বাধ্য হয়ে বারাসত থানায় অভিযোগ দায়ের করেন গৌরাঙ্গ পাল ৷ এদিকে পুলিশও এফআইআর দায়ের করে ৷

তবে তাঁর দাবি, থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েও প্রথমে সমস্যার মুখে পড়তে হয় তাঁকে । প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে পুলিশ । পরে নিম্ন আদালতের নির্দেশে অভিযোগ দায়ের হয় ঠিকই, কিন্তু পুলিশি তদন্তে সেভাবে কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি বলেই দাবি জানায় আইনজীবী। জানা যায় পরে ১২ জুন স্ত্রীকে বারাসতের হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে এনে কলকাতার এক হাসপাতালে ভর্তি করান গৌরাঙ্গ পাল।
আবার এই ঘটনার দিকে কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টিও আকর্ষণ করেন আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় । আদালতে তিনি বলেন, “স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও পরিষেবা না-পাওয়া দুর্ভাগ্যজনক । সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত এমন হয়রানির শিকার হচ্ছেন ৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একাধিকবার নির্দেশ দিলেও শহরের নামী বেসরকারি হাসপাতালগুলি তাতে কোনো কর্ণপাত করছে না ৷ স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে একটা বড়সড় চক্রান্ত চলছে ।” এদিকে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এও বলেন, “এই অভিযোগ যথেষ্ট গুরুত্বের দাবি রাখে ৷ পুলিশকে নির্দেশ দিচ্ছি, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত করে দ্রুত রিপোর্ট নিম্ন আদালতে পেশ করতে হবে।”