অবশেষে ভর্তুকি উঠে গেল সংসদ ভবনের খাবারে, প্রকাশিত হল ক্যান্টিনের নতুন রেট-চার্ট
বেস্ট কলকাতা নিউজ : অবশেষে ভর্তুকি তুলে নেওয়া হল সংসদ ভবনের ক্যান্টিনের খাবার থেকে। এবার থেকে কেন্দ্রীয় সরকার আর কোনো রকম ভর্তুকি দেবে না লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদদের খাবারের মূল্যের ক্ষেত্রে। আগেই লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এবার হলও তাই। ইতিমধ্যেই প্রকাশ করা হয়েছে সংসদের ক্যান্টিনের খাবারের নতুন রেট চার্ট। খাবারের দাম রাখা হয়েছে এমনকি ৩ টাকা থেকে শুরু করে ৭০০ টাকা পর্যন্ত । সংসদ ভবনের ক্যান্টিনে এই নতুন দামেই খাবার মিলবে ২৯ জানুয়ারি বাজেট অধিবেশন শুরুর আগেই।
মূলত, মোদী সরকার অবশেষে ইতি টানল সংসদের ক্যান্টিনে প্রায় ‘নিখরচায়’ ভুরি-ভোজের ক্ষেত্রে। দীর্ঘধিন ধরে কেন্দ্রীয় সরকার ভর্তুকি দিচ্ছিল দেশের সাংসদদের জন্য রাখা খাবারের মূল্যে।এমনকি কম বিতর্ক হয়নি লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদদের জন্য ক্যান্টিনে সস্তা খাবার নিয়েও।
প্রসঙ্গত সাধারণ মানুষকে যখন রেস্তোরাঁ বা অন্য দোকানে চড়া দামে লোভনীয় সব পদের স্বাদ নিতে হয় , তখন সাংসদদের কেন এই বাড়তি সুবিধা দেওয়া হবে? প্রশ্ন উঠেছিল এমনকি তা নিয়েও। বিভিন্ন সময় বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। সংসদ ভবনের ক্যান্টিনে নয়া তালিকা অনুযায়ী সবচেয়ে সস্তার খাবার হল রুটি। তার দাম রাখা হয়েছে ৩ টাকা। সবচেয়ে দামী খাবার হল ননভেজ বুফে লাঞ্চ। যার দাম পড়বে ৭০০ টাকা। এছাড়াও ভেজ বুফে লাঞ্চে দাম ৫০০ টাকা রাখা হয়েছে। নিরামিশ পদের ক্ষেত্রে এটাই সবচেয়ে ব্যয়বহুল ডিস।
সংসদের ক্যান্টিনের নতুন দাম অনুযায়ী চিকেন বিরিয়ানি, চিকেন কাটলেট, চিকেন ফ্রাইয়ের দাম রাখা হয়েছে ১০০ টাকা। ভেজ থালির দামও রাখা হয়েছে ১০০ টাকা। ৭৫ টাকায় মিলবে চিকেন কারি, ১২৫ টাকায় মিলবে মটন কারি। এছাড়াও মটন বিরিয়ানি ও মটন কাটলেট পাওয়া যাবে ১৫০ টাকায়। অপেক্ষাকৃত সস্তার খাবারের তালিকায় থাকছে ব্রেড পাকোড়া এবং সিঙ্গাড়া, যার দাম ধরা হচ্ছে ১০ টাকা।