অবশেষে রথীনের দফতর বসল নড়েচড়ে, শোকজ় করা হল নিম্নমানের চাল সরবরাহের অভিযোগ পেতেই
বেস্ট কলকাতা নিউজ : রেশন দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় হচ্ছে রাজ্য। গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। কোথাও কোথাও আবার সরকারি গুদাম থেকে নিম্নমানের চাল সরবরাহের অভিযোগ উঠে এসেছে। এবার সেই ঘটনায় টিভি নাইন বাংলায় সোজাসাপ্টা জবাব বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, রাতারাতি সব ঠিক করে দেওয়া না গেলেও, সরকারের তরফে সবরকম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নিম্নমানের রেশন সামগ্রী সরবরাহের অভিযোগে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলেও জানালেন তিনি। বললেন, “যে অভিযোগ এসেছে, তার প্রেক্ষিতে যথাযথ ব্যবস্থা করেছি। খাদ্য দফতরের যে ইনস্পেক্টররা ডেলিভারি সিস্টেমে ছিলেন, তাঁদের শোকজ় করা হয়েছে। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। সঠিক জবাব দিতে না পারলে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
খাদ্যমন্ত্রীর এও বক্তব্য, ই-পস ব্যবস্থা পুরোপুরি স্বচ্ছ। বিগত মাসের বরাদ্দ খরচ না হলে ডিলারদের পরের মাসের বরাদ্দ কাটা যাবেই। ই-পসের তথ্যে অস্বাভাবিকতা থাকলে ডিলাররা যাতে যথাযথ জায়গায় অভিযোগ জানান, সেই বার্তাও দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, অভিযোগ জানালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, এটা হতে পারে না।
একইসঙ্গে রেশন গ্রাহকদের উদ্দেশেও মন্ত্রীর বার্তা, তাঁদের জন্য প্রতি মাসে কত চাল, কত গম বরাদ্দ হচ্ছে, তা এসএমএসের মাধ্যমে তাঁদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। রেশন সামগ্রী যদি কম পান কিংবা যদি খারাপ মানের রেশন সামগ্রী পান, তাহলে তা প্রত্যাখ্যান করার পরামর্শও দেন তিনি।
মন্ত্রীর আরও বক্তব্য, ‘স্বচ্ছতা আনতে আমরা ই-পসের পাশাপাশি ই-ওয়েইং চালু করছি। ওজন কম থাকলে স্লিপই বেরোবে না মেশিন থেকে।’ তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ডিলাররাও যেন হোলসেল পয়েন্ট থেকে রেশন সামগ্রী নেওয়ার সময় ওজন বুঝে নেন। ডিলারদের উদ্দেশে মন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘বস্তায় কম ওজনের সামগ্রী থাকলে ডিলাররা তা নিচ্ছেন কেন? ডিলারেরা সই না করলে ডিস্ট্রিবিউররা তো টাকা পাবেন না তো। তাহলে ডিলারেরা রেশন সামগ্রী নিচ্ছেন কেন?’