অবশেষে শেষ হল শপথ গ্রহণ, প্রতিশ্রুতি পালনের পালা শুরু এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর
বেস্ট কলকাতা নিউজ : রাজ্যের মানুষের মূলত অনেক প্রত্যাশা রয়েছে তৃতীয় মা-মাটি-মানুষ-এর সরকারের কাছে। আর স্বয়ং তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়িয়েছেন বাংলার জনগণের এই প্রত্যাশা। কেননা তৃণমূলের নির্বাচনী ইস্তাহারে যে ১০টি মূল প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তাতে খুব স্বাভাবিক ভাবেই মানুষের দাবি অনেক বেড়ে গিয়েছে তৃতীয় তৃণমূল সরকারের কাছে। তবে ২০১৬-তে রাজ্যে ক্ষমতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি দাবি করেন তা তিনি পূরণ করেছেন বলেই। যদিও বিরোধীরা মানতে নারাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দাবি । কিন্তু ২০২১-এর নির্বাচনের ফলই বলে দিচ্ছে রাজ্যের মানুষের প্রবল ভরসা আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতির ওপর । তার একটাই অর্থ প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই দিক থেকে বিচার করে বলা যায়, আগের দু’বারের অনেক বেশি তৃতীয়বারের তৃণমূল সরকারের দায়িত্ব। দায়িত্ব বেশি এই কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনী সভায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এসসি/এটি ও সাধারণ সম্প্রদায়ের মহিলাদের মাসে ১০০ ও ৫০০ টাকা করে হাত খরচের অর্থ প্রদান করবেন ।এমনকি সেটা লেখা রয়েছে ইস্তাহারেও। প্রসঙ্গত , রাজ্য সরকার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেওয়ার কাজ নির্বাচনের আগে শুরু করলেও এখনও অনেক মানুষ পাননি সেই কার্ড। নির্বাচনী জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেছেন, বছরে চারবার দুয়ারে সরকার হবে। সেখানে নাম লেখালেই পাওয়া যাবে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড।
এদিকে রাজ্যের মানুষদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুয়ারে রেশন পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জুন মাস থেকে আগামী পাঁচ বছর পর্যন্ত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এক একর জমি যে কৃষকদের আছে তাদের দেওয়া হবে ১০ হাজার টাকা করে। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যারা স্বামীহারা হবেন, তাঁদের বিধবা ভাতা দেওয়া হবে। আগামী ৫ বছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে পালন করে চলতে হবে এই সব প্রতিশ্রুতি। তাই শপথ গ্রহণ শেষ, এবার পালা প্রতিশ্রুতি পূরণের ।