একদিকে চিন অন্যদিকে পাকিস্তান! বায়ুসেনার অবশেষে এক বিরাট ‘চাল’আকাশ পথে মোকাবিলা করতে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : বায়ুসেনার প্রয়োজন আরও অধিক যুদ্ধবিমান। বিষয়টি মেনে নিল ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কমিটি। মঙ্গলবার উচ্চ পর্যায়ের এই প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কমিটি বৈঠকে বসেছিল। সেখানে ভারতীয় যুদ্ধ বিমান গুলির কী অবস্থা, সেগুলি নিয়ে রিপোর্ট জমা পড়ে। এখানে মূলত পরিষ্কার করে দেওয়া হয়, ‘মাল্টিরোল’ যুদ্ধবিমান আরও প্রয়োজন। কারণ পূর্ব দিকে চিন এবং পশ্চিম দিকে পাকিস্তান, দু’দিকেই আকাশ প্রতিরক্ষা মোকাবিলায় স্কোয়াড্রন প্রয়োজন রয়েছে। প্রতিরক্ষা সচিব রাজেশ কুমার সিং ভারতীয় বায়ু সেনা শক্তি বৃদ্ধি নিয়ে এই রিপোর্ট পর্যালোচনা করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর কাছে জমা দিয়েছেন বলে খবর।
ভারতীয় বায়ু সেনা সূত্রে খবর, চিন ইতিমধ্যেই ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরি করে ফেলেছে। আর তাদের সাহায্যে পাকিস্তান নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাচ্ছে। এই অবস্থায় ভারতের পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান অর্থাৎ এএমসিএ এখনো পর্যন্ত কবে বায়ু সেনায় যুক্ত হবে, সেটা নিয়েই সংশয় রয়েছে বায়ুসেনার মধ্যে। এই অবস্থায় যদি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে মজবুত করতে হয়, তাহলে আরও বেশি করে মাল্টি রোল যুদ্ধবিমান ভারতীয় বায়ুসেনার প্রয়োজন রয়েছে।

বর্তমানে ভারতীয় বায়ু সেনার কাছে মোট ৩১টি স্কোয়াড্রন রয়েছে। কিন্তু প্রয়োজন ৪৩টি স্কোয়াড্রেন। একইসঙ্গে রিপোর্টে রাশিয়ার সুখোই – ৫৭ এবং আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের এফ-৩৫ কেনার ব্যাপারেও ভারতীয় বায়ুসেনার যাবতীয় মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, এক্ষেত্রে সুখোই-৫৭ কে কিছুটা হলেও এগিয়ে রেখেছে ভারতীয় বায়ু সেনা। কারণ ইউক্রেন যুদ্ধে সুখোই-৫৭ ব্যবহার করা হয়েছে। কার্যকারিতা সম্পর্কে ভারতীয় বায়ুসেনা যথেষ্ট অবহিত। তাই এ ব্যাপারে আরও বেশি আলোচনা প্রয়োজন বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা রয়েছে। পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কেনার ক্ষেত্রে টেন্ডার প্রক্রিয়াকে দ্রুত সম্পাদন করার আবেদন জানানো হয়েছে রিপোর্টে। সেখানে ফ্রান্সের রাফাল বা সুইডেনে গ্রিপেন অংশগ্রহণ করলে, বায়ুসেনার পক্ষে ভাল হবে বলেও দাবি করা হয়েছে।
এদিকে ভারতীয় বায়ুসেনা সূত্রে খবর, লাইট কম্ব্যাট এয়ারক্রাফট তেজসের মার্ক ওয়ান, মার্ক ওয়ান এ এবং মার্ক ২ দ্রুত তৈরি করে বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য তৎপরতা সন্তোষজনক বলেই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। তবে আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে বেশ কয়েকটি গোত্রের যুদ্ধবিমান অবসর নেবে। সেই জায়গা যাতে তেজস আগে থেকে নিতে পারে, তার জন্য রিপোর্টে গুরুত্ব সহকারে উল্লেখ করা হয়েছে। রিপোর্টে আরোও বলা হয়েছে, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির সময় বয়স বেড়ে যাওয়া এই যুদ্ধবিমান গুলি দিয়ে মোকাবিলা করা কিছুটা হলেও সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেভাবে ধীর গতিতে যুদ্ধবিমান বানানো চলছে, তা ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য ভাল বিজ্ঞাপন নয়।