এবার আলাদা সংরক্ষণ তফসিলি জাতি-উপজাতির মধ্যেও, ঐতিহাসিক রায় জনজাতি-উপজাতির শ্রেণি বিভাজনে সম্মতি সুপ্রিম কোর্টের
বেস্ট কলকাতা নিউজ : এক ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের । জনজাতি-উপজাতির মধ্য়েও শ্রেণি বিভাজনে সম্মতি দিলো শীর্ষ আদালত । আজ, সুপ্রিম কোর্টে সাত বিচারপতির বেঞ্চের তরফে শিক্ষা ও চাকরিতে সংরক্ষণের ক্ষেত্রে তফসিলি জাতি-জনজাতির মধ্যে শ্রেণি বিভাজনে সম্মতি দেওয়া হয়। পিছিয়ে পড়া শ্রেণি যাতে শিক্ষা ও চাকরিতে আরও সুযোগ পায়, তার জন্যই এই রায় বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তফসিলি জাতি-উপজাতির মধ্যে উপশ্রেণিকে সংরক্ষণ দেওয়ার ক্ষমতা থাকবে রাজ্য সরকারের হাতে।
এ দিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির বেঞ্চের তরফে ২০০৪ সালের রায় খারিজ করে দিয়ে তফসিলি জাতি-জনজাতির মধ্যেও শ্রেণি বিন্যাসে সম্মতি জানানো হয়। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের ছয় বিচারপতি এই রায়ের সপক্ষে সম্মতি জানানো হয়। বিচারপতি বেলা ত্রিবেদী রায়ে বিরোধিতা করেছেন।
২০০৪ সালে ইভি চিন্নায়া বনাম অন্ধ্র প্রদেশ সরকারের মামলায় পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চের তরফে সংরক্ষণে তফসিলি জাতি-উপজাতির মধ্যে শ্রেণি বিভাজনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা হয়েছিল। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ফের মামলা হয়। সম্প্রতি এই মামলার শুনানিতে কেন্দ্রের তরফে শীর্ষ আদালতে তফসিলি জাতি-উপজাতির মধ্যে আরও শ্রেণিবিভাজনের সপক্ষেই সম্মতি দেওয়া হয়েছিল।
প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করা হয়, সাব ক্লাসিফিকেশন ও সাব-ক্যাটেগরিজেশনের মধ্যে ফারাক রয়েছে। তফসিলি জাতি-উপজাতির মধ্য়েও যাতে আরও পিছিয়ে পড়া শ্রেণি সুযোগ-সুবিধা পায়, তার জন্য জাতি-উপজাতির মধ্যে শ্রেণিবিন্যাসের দায়িত্ব রাজ্য সরকারকে নিতে হবে। এ দিন মামলার রায়দানে প্রধান বিচারপতি বলেন, “অনেক সময়ই বৈষম্যের কারণে তফসিলি জাতি-উপজাতির সদস্য়রা উন্নতির শিখরে পৌঁছতে পারেন না। ১৪ নং অনুচ্ছেদে জাতির এই শ্রেণিবিন্যাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ইতিহাসে প্রমাণ রয়েছে যে পিছিয়ে পড়া শ্রেণি কখনও সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্রেণি ছিল না।”