ওড়িশায় খুন হওয়া শ্রমিকের কফিনবন্দি দেহ অবশেষে ফিরল সূতির গ্রামে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : মুর্শিদাবাদের সূতির পরিযায়ী শ্রমিক জুয়েল রানাকে ওড়িশায় পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে তাঁর কফিনবন্দি দেহ গ্রামের বাড়িতে ফিরল। সূতির চক বাহাদুরপুরে তাঁর দেহ পৌঁছতেই গ্রামজুড়ে কান্নার রোল ওঠে। ওড়িশার সম্বলপুরে রাজমিস্ত্রির কাজে গিয়েছিলেন জুয়েল। সেখানে তাঁকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে খুন করে দুষ্কৃতীরা। এদিন মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের শেষকৃত্যে এলাকার প্রচুর মানুষ শামিল হন। তাঁর বাড়িতে গিয়ে পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস। বিরোধী দলের নেতারাও জুয়েলের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানান।

জুয়েলের পরিবারে বাবা-মা ও তিন বোন রয়েছে। কয়েকবছর ধরেই তিনি রাজমিস্ত্রির শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন। পাঁচদিন আগে সহকর্মীদের সঙ্গে ওড়িশার সম্বলপুরে কাজে যান। ঘটনার দিন কাজ থেকে ফিরে ভাড়াবাড়িতে তিন বন্ধু মিলে রান্না করছিলেন। সেসময় একদল দুষ্কৃতী তাঁদের উপর চড়াও হয়। বাংলাদেশি সন্দেহে তাঁদের আধার কার্ড দেখাতে বলে। কিন্তু তা দেখানোর আগেই দুষ্কৃতীরা জুয়েলের মাথায় কাঠ দিয়ে সজোরে আঘাত করে। ঘটনাস্থলেই তিনি লুটিয়ে পড়েন। তাঁর দুই সঙ্গীকে বেধড়ক মারধর করে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। অন্য সহকর্মীদের ফোনে খবর দিলেও তাঁরা দুষ্কৃতীদের ভয়ে সঙ্গে সঙ্গে আসতে পারেননি। পরে তাঁরা এসে তিনজনকেই হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু জুয়েলকে বাঁচানো যায়নি। এদিন জুয়েলের মরদেহ ফিরতেই আশপাশের গ্রাম থেকে বহু মানুষ তাঁকে শেষবারের মতো দেখতে ভিড় করেন। এদিকে বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস বলেন, বাংলায় বিজেপির নেতারা বড় বড় ডায়লগ দিচ্ছেন। আর ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যে নিরীহ বাঙালি শ্রমিকদের পিটিয়ে মারা হচ্ছে। বিজেপি নেতারা এসব দেখতে পান না। আমরা মৃতের পরিবারের পাশে থাকব। সরকারিভাবেও তাঁদের পাশে দাঁড়ানো হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *