কর মূল্যায়ন ছাড়া ফেলে রাখা যাবে না সামান্য জমিও, পুরসভার সম্পত্তি কর মূল্যায়ন ও রাজস্ব আদায় বিভাগের আধিকারিকদের নির্দেশ মেয়র ফিরহাদ হাকিমের

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : সামান্য জমিও কর মূল্যায়ন ছাড়া ফেলে রাখা যাবে না। প্রতি ছটাক জমি এবং সম্পত্তির কর মূল্যায়ন (অ্যাসেসমেন্ট) করতেই হবে। বুধবার কলকাতা পুরসভার সম্পত্তি কর মূল্যায়ন ও রাজস্ব আদায় বিভাগের আধিকারিকদের নিয়ে রিভিউ বৈঠকে এই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। উদ্দেশ্য, রাজস্ব খাতে পুরসভার আয়বৃদ্ধি। তবে মেয়র এদিন নির্দিষ্ট করে কোনও সময়সীমা বেঁধে দেননি। অ্যাসেসমেন্ট করতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, সংশ্লিষ্ট জমি বা সম্পত্তির মালিককেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে কর মূল্যায়ন সম্ভব হয় না। এই সমস্যারও সমাধান বাতলে দিয়েছেন মেয়র। তাঁর নিদান, অ্যাসেসমেন্ট করতে গিয়ে কোনও জমির মালিককে খুঁজে না পাওয়া গেলে পুরসভার নামেই কর মূল্যায়ন করে রাখতে হবে। সেই সঙ্গে ওই জমিতে পুরসভার তরফে ব্যানার লাগিয়ে দেওয়া হবে। মেয়রের দাবি, ‘এই কাজ করলেই দেখবেন, কাগজপত্র নিয়ে দৌড়তে দৌড়তে মালিক ঠিক চলে এসেছেন।’

এদিন রিভিউ বৈঠকের শুরুতে পুর কমিশনার বলেন, ‘কর আদায়ের পরিমাণ আশানুরূপ নয়। সেল্ফ অ্যাসেসমেন্ট বা সম্পত্তির স্ব-মূল্যায়নের কাজেও গতি নেই। এমনিতেই নির্বাচনের কারণে আমরা তিন মাস পিছিয়ে পড়েছি। এবার জোরকদমে কাজ শুরু করুন।’ কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)-এর জমি সহ সম্পত্তিগুলির কর মূল্যায়ন ও মিউটেশনের প্রসঙ্গ ওঠে বৈঠকে। কেএমডিএ পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের আওতাধীন। সেই দপ্তরের মন্ত্রী ফিরহাদ বলেন, ‘কেএমডিএর সম্পত্তিগুলিরও মিউটেশন করান। সবক’টি সম্পত্তির অ্যাসেসমেন্ট করতে হবে। তালিকা ধরে ধরে সেই কাজ করুন।’ কলকাতায় অবস্থিত রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারি দপ্তর বা সংস্থার পড়ে থাকা জমি বা অন্যান্য সম্পত্তিকেও অ্যাসেসমেন্টের আওতায় আনতে বলেছেন মেয়র। বিশেষ করে রেল ও বন্দরের জমি বা বাড়িগুলির প্রসঙ্গ আলোচিত হয় এদিনের বৈঠকে।

ট্যাক্সের বিল পোস্ট অফিসের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি পাঠানো নিয়ে সমস্যার কথা উঠে আসে এদিনের বৈঠকে। মূলত বেহালা, ঠাকুরপুকুর, যাবদপুর এলাকার অফিসাররা এই সমস্যার কথা তুলে ধরেন। বহু ক্ষেত্রেই নিয়মিত করদাতারা ট্যাক্সের বিল সময়মতো পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। এই সমস্যা সমাধানে ডাক বিভাগের বদলে বেসরকারি ক্যুরিয়ার সার্ভিসের সাহায্য নেওয়া যায় কি না, সে বিষয়ে আলোচনা হয়। ডাকে না পাঠিয়ে যে অঞ্চলে যে ক্যুরিয়ার সার্ভিস ভালো পরিষেবা দিচ্ছে, তাদের এই কাজে নিযুক্ত করা যায় কি না, বিবেচনা করছে পুর কর্তৃপক্ষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *