কী বলছে এসব! কানাডা এ কোন বিপদের মধ্যে ফেলতে চাইছে ভারতকে ?
বেস্ট কলকাতা নিউজ : কানাডার প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিল ব্লেয়ার কানাডিয়ানদের জন্য ভিসা পরিষেবা স্থগিত করা-সহ ভারতের নেওয়া ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন। তিনি সত্য উদঘাটনে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার হত্যার তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করার জন্য নয়াদিল্লির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আর, এই সমস্যা মেটাতে একসঙ্গে কাজ করতে আহ্বান জানিয়েছেন।
ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় গত ১৮ জুন, কানাডার মাটিতে খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী হরদীপ সিং নিজ্জার (৪৫)-কে হত্যা করেছে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। এই হত্যার ঘটনায় ভারতীয় এজেন্টদের ‘সম্ভাব্য’ জড়িত থাকার বিস্ফোরক অভিযোগের পর ভারত আর কানাডার মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ভারত ২০২০ সালেই নিজ্জরকে সন্ত্রাসবাদী তকমা দিয়েছিল।
ভারত ইতিমধ্যেই অত্যন্ত ক্ষোভের সঙ্গে কানাডার অভিযোগগুলোকে ‘অযৌক্তিক’ এবং ‘প্ররোচিত’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। একইসঙ্গে এই মামলায় একজন ভারতীয় কূটনীতিককে অটোয়া থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জবাবে ভারতও কানাডার একজন প্রবীণ কূটনীতিককে নয়াদিল্লি থেকে বহিষ্কার করেছে। ভারত গত সপ্তাহে কানাডাকে তার মাটি থেকে পরিচালিত সন্ত্রাসবাদী ও ভারতবিরোধী উপাদানগুলো দমন করার আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি, কানাডিয়ানদের জন্য ভিসা পরিষেবা স্থগিত করেছে।
তার মধ্যেই রবিবার কানাডার জাতীয় পাবলিক ব্রডকাস্টার সিবিসি নিউজের সঙ্গে সাক্ষাত্কারে কানাডার প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিল ব্লেয়ার বলেছেন, নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ভারত জড়িত- ‘এটা আমাদের কাছে অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়েছে। ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (আরসিএমপি) এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই একটি তদন্ত শুরু করেছে।’
কানাডার প্রতিরক্ষামন্ত্রী তদন্তের বিবরণ প্রকাশ না-করে বলেছেন যে, ‘আমাদের এব্যাপারে খুব সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে। তথ্যের উৎস বা প্রমাণ বা প্রমাণের ধরণ আমরা প্রকাশ করতে পারছি না। কারণ, এই তদন্তের ফলাফল কানাডার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি বিশ্বে আমাদের মিত্রদের কাছেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ব্লেয়ার বলেন, ‘তারা (ভারত) যে ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। কারণ, আমাদের দেশে খুবই উল্লেখযোগ্য (এবং) গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যায় ইন্দো-কানাডিয়ানরা আছেন। তাঁরা পরিবারিক ভাবে এবং ব্যবসায়িক কারণে ভারতের সঙ্গে যুক্ত।’ আর, সেই কারণে এই তদন্তে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে বলেই ব্লেয়ার জানান। তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেন যে নিজ্জরের হত্যার ঘটনায় বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ সংগ্রহ করতেই এখন তাঁদের সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে।