কেন্দ্র ক্রমশ বাধা দিচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও , দিল্লির আপ সরকার ফের আদালতের দ্বারস্থ হল এমনি অভিযোগ তুলে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোয় প্রকৃত প্রশাসনিক ক্ষমতা অবশ্যই নির্বাচিত সরকারের হাতেই থাকা উচিত”- দিল্লি সরকার বনাম লেফটেন্যান্ট সরকার মামলার প্রেক্ষিতে এ রকম কথাই জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। দিল্লির শাসন ভারের বিষয়টিও স্পষ্ট করে দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয় দিল্লির বিধানসভা ও নির্বাচিত সরকারের প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপের কোনও ক্ষমতা নেই লেফটেন্যান্ট গভর্নরের। জমি, পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা ছাড়া বাকি সমস্ত প্রশাসনিক কাজে শেষ কথা বলবে দিল্লি সরকার আর দিল্লি সরকারের সমস্ত সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হবে লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে। কিন্তু দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল অভিযোগ করলেন দেশের শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশ মানা হচ্ছে না বলেই । তাঁর অভিযোগ, আমলা, সচিবদের বদলিতে বাধা দিচ্ছে কেন্দ্র। এই অভিযোগ করে ফের একবার তিনি দ্বারস্থ হলেন দেশের শীর্ষ আদালতের ।
দিল্লি সরকার এবং কেন্দ্রের বিরোধ মেটার কোনও নাম নেই। সু্প্রিম কোর্টের উল্লেখযোগ্য রায় ঘোষণার পর দিনই ফের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন। তাঁর অভিযোগ কেন্দ্র সচিব বদলিতে বাধা দিচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরও । এমনকি অনুমতি দিচ্ছে না বলে অভিযোগ আপ সরকারের। বিষয়টি নিয়ে ফের এক বার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল দিল্লি সরকার। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্চের নির্দেশ মানা হচ্ছে না এই অভিযোগ তুলে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে দিল্লি সরকার। সেই আবেদন সুপ্রিম কোর্টে গৃহীত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এ নিয়ে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে শুনানির জন্য তিনি সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করবেন। পরের সপ্তাহে এ বিষয়ে শুনানি হবে।
দিল্লি সরকারের হয়ে এ বিষয়ে আবেদন করেছেন বর্ষীয়ান আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। সুপ্রিম কোর্টে দিল্লি সরকারের হয়ে আবেদনের পর তিনি বলেছেন, “সংবিধানের ১৪১ নম্বর ধারার অধীনে আদালতের নির্দেশ অবমাননা হচ্ছে। আদালতের উচিত শীঘ্র বিষয়টি শোনা।”