কোনো রকম সাজানো চিত্রনাট্য নয় তো!’ কুণাল ঘোষ ‘সর্ষের মধ্যে ভূত’ দেখছেন লোকসভার ঘটনায়
বেস্ট কলকাতা নিউজ : জিরো আওয়ারে প্রশ্ন করছিলেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। আচমকা দুজন টেবিল পেরিয়ে সোজা নেমে পড়েন ওয়েলে। অজ্ঞাতপরিচয় দুই ব্যক্তিকে এভাবে ছুটে যেতে দেখে রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি হয় লোকসভা কক্ষে। তাঁদের হাতে থাকা ক্যান ছুড়ে মারতেই গলগল করে বেরতে শুরু করে হলুদ রঙের ধোঁয়া। সাংসদরাও লোকসভা কক্ষ থেকে হুড়োহুড়ি করে বেরিয়ে পড়েন। দুজনকে আটকও করা হয়েছে ইতিমধ্যে। এই পুরো বিষয়টা একটা ‘চিত্রনাট্য’ হতে পারে বলে মন্তব্য করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, এই ঘটনা আদতে অভিনয়ও হতে পারে।
উল্লেখ্য , ২২ বছর আগে এমন এক ১৩ ডিসেম্বরেই সংসদে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছিল। সেই ১৩ ডিসেম্বরেই এমন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের কাণ্ডে উদ্বেগ বেড়েছে আরও। এই প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, “আজ যা হয়েছে তা গভীরভাবে উদ্বেগজনক। খতিয়ে দেখতে হবে। যদি এটা সত্যি নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে ফেলার ঘটনা হয়, তাহলে এর পূর্ণ দায়িত্ব নিতে হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে।” তাঁর প্রশ্ন, এটা কীভাবে হতে পারে? গ্যালারি পর্যন্ত যাওয়া সহজ নয় বলেই মন্তব্য করেছেন কুণাল ঘোষ। কুণাল বলেন, “আমি গ্যালারিতে গিয়েছি। যেতে গেলে যতগুলো বেষ্টনী পার করতে হয়। সেটা কম নয়।” তিনি মনে করেন, সর্ষের মধ্যে ভূত না থাকলে এমন ঘটনা ঘটতে পারে না।
তবে সে ক্ষেত্রে অন্তর্ঘাতের আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না কুণাল ঘোষ । তবে সব শেষে তিনি মনে করেন, এটা নিছকই একটা সাজানো ঘটনা বা চিত্রনাট্যও হতে পারে। তিনি এও বলেন, “সামনে লোকসভা নির্বাচন আসছে। তার আগে এই ঘটনাটা দেখলে মনে হবে বহিরাগত শত্রু আসছে। কিন্তু এটা গভীরভাবে অভিনীত কোনও চিত্রনাট্য নয়ত! এর পিছনে অন্য কোনও মস্তিষ্ক আছে কি না দেখতে হবে। সরকারের জনবিরোধী ইস্যু থেকে নজর ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা নয়ত! কুণালের আরও দাবি, বিজেপির পরাজয় নিশ্চিত বলেই এভাবে রাজনৈতিক ছক কষা হচ্ছে।