ক্রমশ ভিড় জমছে ধর্মতলায়, সকাল সকাল মমতা-অভিষেকের কী বার্তা ? নজর সেদিকেই
বেস্ট কলকাতা নিউজ : আজ ২১শে জুলাই। তৃণমূলের শহিদ তর্পণের দিন। ঠিক ৩০ বছর আগে (২১শে জুলাই, ১৯৯৩) এদিনেই সচিত্র পরিচয়পত্র দিয়ে ভোটের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে ঝরে গিয়েছিল ১৩টি প্রাণ। সেই সময় যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে তৃণমূল গঠনের পর মমতার নেতৃত্বে ২১শে জুলাই শহিদ দিবস পালিত হয়। ফলে এই দিনটি নিয়ে বরাবরই আবেগপ্রবণ তৃণমূলের নেতা কর্মী সমর্থকেরা। শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে ইতিমধ্যেই কলকাতার ধর্মতলায় ভিড় জমতে শুরু করেছে। তার মধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে বার্তা দিয়েছেন মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সদ্য পঞ্চায়েত ভোট মিটেছে। দুর্নীতির ভুরি ভুরি অভিযোগ ছিল তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে। শাসক দল তৃণমূলের কপালে জুটেছে ভোটে সন্ত্রাস, কারচুপির দোষারোপ। কিন্তু গ্রাম বাংলার রায় গিয়েছে জোড়-ফুলের পক্ষেই। অর্থাৎ গ্রামীণ বাংলা যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছে তার স্পষ্ট জনাদেশ মিলেছে পঞ্চায়েত ভোট। ফলে উজ্জীবিত শাসক দলের কর্মী, সমর্থকরা। যদিও পঞ্চায়েত বিপুল জয়ের পরও সংযোমী নেত্রী। ভোটকে কেন্দ্র করে জোড়া-ফুলের ৩৪ জন কর্মী বা সমর্থকের প্রাণহানি হয়েছে। ফলে এই দিনটি এবার ‘শ্রদ্ধা দিবস’ বলেই পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধীদের কুপোকাতের পর এদিন ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চ ছেতে তৃণমূল সুপ্রিমো কী বার্তা দেন নজর থাকবে সেদিকেই ।
আগামী (২০২৪ সালে) বছর লোকসভা ভোট। ঘর গুছোতে শুরু করে দিয়েছে শাসক ও বিরোধী পক্ষ। ইতিমধ্যেই মোদী সরকারকে দিল্লির মসনদ থেকে উৎখাতে সর্বভারতীয়স্তরে জোট বেঁধেছে ২৬ বিজেপি বিরোধী দল। এই জোটের নামকরণ হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’। এই জোট গঠনে তৃণমূল নেত্রীর অগ্রগণ্য ভূমিকা দেখা গিয়েছে। পাল্টা বিজেপি-র নেতৃত্বাধীন এনডিএ-ও প্রস্তুতি সাড়েছে। ফলে এবার লোকসভায় মূত লড়াই এনডিএ বনাম ইন্ডিয়া-র। বিজেপি সরকাররের পতন ঘটাতে মরিয়া মমতা শেষ পর্যন্ত কংগ্রসের প্রতি নরম মনোভাব দেখিয়েছেন। সনিয়া ও রাহুল গান্ধীর মাঝে বসতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এমনকী রাহুলকে ‘আমাদের প্রিয়’ বলেও সম্বোধন করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধী এই জোটে সামিল বামেরাও। এই পেক্ষাপটে ২৩শের ‘শহিদ মঞ্চ’ থেকে ২৪শের লোকসভা ভোটকে লক্ষ্য রেখে দলীয় নেতা, কর্মীদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বলেন তা নিয়ে উৎসাহ তুঙ্গে।