ঘোষণাই সার হল , ক্রিকেট স্টেডিয়াম ব্রাত্যই থেকে গেল শহর শিলিগুড়িতে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

শিলিগুড়ি : সবুজ বাইশ গজে ব্যাট–বলের টক্কর। পিছনে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা। কেপ টাউন বা ধরমশালাকে চ্যালেঞ্জ জানানোর একেবারে আদর্শ মঞ্চ তৈরি ছিল। কিন্তু এমন স্টেডিয়ামের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেল শিলিগুড়িতে। একটা সময়ে ছিল যখন শিলিগুড়ি মানে ছিল বাংলা ক্রিকেটে এক স্বপ্ন নগরী। ঋদ্ধিমান সাহা, রিচা ঘোষদের শহর বটেই এ শহরের কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে হয়েছে রঞ্জি ম্যাচও। কামাল হাসান মণ্ডল, দেবব্রত দাস, পার্থসারথি ভট্টাচার্যরা এই শহরের ফসল। তারও আগে শিলিগুড়ি থেকে কলকাতায় এসে পঙ্কজ রায়ের সঙ্গে খেলে গিয়েছেন জয়ন্ত ভৌমিক। ঋদ্ধিমানের ছেলেবেলার কোচ তিনিই। এক সময়ে বাংলার নামী কোচ পুলক বিশ্বাস কোচিং করিয়েছিলেন শিলিগুড়িতে। এই মুহূর্তে সেই শিলিগুড়ির ক্রিকেটই যে দুয়োরানি। নেই কোনও ক্রিকেট স্টেডিয়াম। কাঞ্চনজঙ্ঘায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে ক্রিকেট। টিমটিম করে ফুটবল টিকে আছে সেখানে। আর স্টেডিয়ামে হয় জলসা।

কেন এমন দুরবস্থা? জায়গা কি নেই। যথেষ্ট আছে। উত্তরায়ণে চাঁদমনি চা বাগান কর্তৃপক্ষের মাঠে ক্রিকেট স্টেডিয়াম গড়ার প্রস্তাব এসেছিল। সেখানেই কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে দেখতে ক্রিকেটের স্বাদ নিতে পারতেন ক্রিকেট পিপাসুরা। কিন্তু সেই অঞ্চলের মালিকানা যাদের, তারা টাউনশিপ গড়ার সময় কথা দিলেও পরবর্তীতে উদ্যোগী হয়নি। মাঠটি পড়ে আছে। কাওয়াখালিতে শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্টেডিয়াম করার মতো বেশ খানিকটা জায়গা ছিল। সেখানে সাই কেন্দ্র গড়ে ওঠার কথা ছিল। কিন্তু কোথায় সাই, কোথায় ক্রিকেট! সেখানে গজিয়ে উঠছে একের পর এক আবাসন। এদিকে শিলিগুড়িতে স্টেডিয়াম গড়ে তোলার সদিচ্ছা কারও নেই দায়িত্বে থাকাসত্বেও । শোনা গেছে , খোদ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় শিলিগুড়িতে এসে আহ্বান জানাবেন স্টেডিয়াম গড়ার। শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের ক্রিকেট সচিব মনোজ ভর্মার বক্তব্য, ‘যে শহর থেকে দেশ-বিদেশে নাম উজ্জ্বল করেছে সেই শহরে ক্রিকেট স্টেডিয়াম হবে না এটা ভেবেও কষ্ট হয়।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *