তাক লাগানো কৃতীত্ব মাত্র ১০ বছরেই, ফের ভারতের মুকুটে পালক উঠলো বাংলার মেয়ের অসাধারণ সাফল্যে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ট্রফির সাইজ বড়! হ্যাঁ দেহের আয়তনের থেকে। ঠিক এমনটাই ঘটেছে আরোহীর সঙ্গে। আরোহী দে যোগাসনে দু’টি ইভেন্টে সোনার মেডেল জিতে দেশের মুখ উজ্জ্বল করল মাত্র ১০ বছর বয়সেই । সম্প্রতি ব্যাঙ্কক এ অনুষ্ঠিত হয় যোগাসনের এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ কাপ। সেখানে ট্রাডিশনাল যোগাসন এবং আর্টিস্টিক সোলো এই দু’টি ইভেন্টে ফাইনাল রাউন্ডে দমদমের খুদে আরোহী চ্যাম্পিয়ন অফ দা চ্যাম্পিয়নশিপ হয়ে দু’টি সোনার মেডেল জিতে নেয় ।
দমদম ক্যান্টনমেন্ট এর বাসিন্দা আরোহী সাড়ে তিন বছর বয়সেই পাড়ার ক্লাবে ভর্তি হয়েছিল মায়ের হাত ধরে। এরপর গত বছর কোন্নগরে প্রখ্যাত যোগা প্রশিক্ষক গৌরাঙ্গ সরকারের একাডেমিতে ভর্তি হয়।। জহুরীর চোখ জহরত খুঁজতে বেশি সময় লাগেনি। কার্যত গৌরাঙ্গ উঠে পড়ে লেগেছিলেন মাটির তাল আরোহীকে মূর্তি হিসাবে গড়তে। আর আরোহী প্রশিক্ষকের মর্যাদা রাখল কয়েকবছরে ভেতরেই ।
কিন্তু হঠাৎ এত কম বয়সে যোগাসনে ভর্তি করানো কেন? আরোহীর মা সুবর্ণা দে জানান, ‘ছোট থেকেই ওর শারীরিক গঠন সুন্দর। স্থির ভাবে থাকে না।ওস্তাদ ছিল শরীর বিভিন্ন ভাবে মোচড়াতে । ওর বাবা তা দেখে যোগাসনে ভর্তি করিয়ে দেয় মেয়েকে । প্রথমে পাড়ার ক্লাবে তারপর যোগ গুরু গৌরাঙ্গ বাবুর কাছে ভর্তি করাই।’
আরোহী দমদমের ঋষি অরবিন্দ মেমোরিয়াল একাডেমির পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী। এর আগে সে অংশগ্রহন করে পুরস্কার জিতেছে অন্তরদেশীয় বিভিন্ন যোগাসন প্রতিযোগিতায়। এই নিয়ে তার দ্বিতীয়বার বিদেশযাত্রা। গত জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশে তিন দিনের প্রতিযোগিতায় দু’টি ইভেন্টের একটিতে প্রথম এবং অন্যটিতে রানার্স হয়ে দেশে ফেরে খুদে আরোহী। এরপর আরোহী সোনা জয় করল জুন মাসের শেষ সপ্তাহে ব্যাংককে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সবচেয়ে কনিষ্ঠ প্রতিযোগী হিসেবে ।