তৃণমূল নেতাকে কুপিয়ে, গুলি করে খুন করা হল বসিরহাটে, ব্যাপক উত্তেজনা এলাকায়
বেস্ট কলকাতা নিউজ : প্রথমে এলোপাথাড়ি কোপ। তারপর মাথায় ও বুকে গুলি মৃত্যু নিশ্চিত করতে। অবশেষে আততায়ীরা এভাবেই পালাল রাস্তার উপর তৃণমূলের দাপুটে নেতাকে খুন করে। আটকাতে গিয়ে জখম হয়েছেন এমনকি নেতার এক সঙ্গীও৷ জানা গেছে নিহতের নাম মোফাজ্জল হক ওরফে আকু (৪২)। জখম এই তৃণমূল নেতাকে ভর্তি করা হয়েছে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে। এই ঘটনার জেরে বসিরহাটের চাঁপাপুকুর পঞ্চায়েতের রাজাপুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় ছড়িয়েছে এমনকি ব্যাপক উত্তেজনাও। ওই তৃণমূল নেতাকে কেন এভাবে হত্যা করা হল এখনও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি সে সম্পর্কেও। এদিকে পুলিশও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে খুনের কারণ সম্পর্কে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, নিহত তৃণমূল নেতা মোফাজ্জল হকের বাড়ি বসিরহাটের মাটিয়ার আকিপুরে। গতকাল রাত সাড়ে দশটা নাগাদ বাইকে করে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন চাঁপাপুকুর থেকে। বাইকের পিছনে ছিলেন তৃণমূল কর্মী হাফিজুর গাজি।৮ -১০ জন দুষ্কৃতী ওই তৃণমূল নেতার পথ আটকায় রাজাপুর বাজারের কাছে আসামাত্রই।কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুষ্কৃতীরা বাইক থেকে নামিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে মোফাজ্জলকে। মোফাজ্জলকে বাঁচাতে যান এমনকি হাফিজুরও। তাঁর উপরেও গিয়ে পড়ে এমনকি দুষ্কৃতীদের রোষ। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় ওই তৃণমূল কর্মীকেও ৷ যাওয়ার আগে দুষ্কৃতীরা তাঁর মাথায় ও বুকে কয়েক রাউন্ড গুলি করে ওই তৃণমূল নেতার মৃত্যু নিশ্চিত করতে৷এলাকার স্থানীয়রা বেশ কিছুক্ষণ পর মোফাজ্জল ও হাফিজুরকে উদ্ধার করে নিয়ে যান বসিরহাট জেলা হাসপাতালে।চিকিৎসকরা সেখানেই মোফাজ্জলকে মৃত ঘোষণা করেন। জানা গেছে শারীরিক অবস্থা যথেষ্ট সঙ্কটজনক আহত তৃণমূলকর্মীরও।
এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আকিপুর এবং রাজাপুরে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মাটিয়া থানার পুলিশ৷ তবে এখনও অধরা আততায়ীরা। ঘটনার পিছনে তদন্তকারীরা উড়িয়ে দিচ্ছেন না এমনকি ব্যক্তিগত শত্রুতা কিংবা রাজনৈতিক যোগ- কোনওটাই। পুলিশ সবদিক খতিয়ে দেখছে। এমনকি এর আগেও আততায়ীরা মোফাজ্জল হককে খুনের চেষ্টা করেছিল।কিন্তু সেই সময় প্রাণে বেঁচে গেলেও এবার তিনি আর রক্ষা পেলেন না।