দিল্লির বঙ্গভবনে পদ্ম শিবিরের তুমুল বিক্ষোভ, ত্রিপুরায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর থেকে খগেন কাণ্ডের জের, মোদির সমালোচনায় সরব হল জোড়াফুল শিবির
বেস্ট কলকাতা নিউজ : বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শংকর ঘোষের উপর হামলার ঘটনা নিয়ে তপ্ত বঙ্গের রাজনীতি। তৃণমূলের বিরেুদ্ধে সাঁড়াশি আক্রমণে নেমেছে গেরুয়া শিবির। পালটা নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যের প্রবল সমালোচনা করে জবাব দিয়েছে জোড়াফুল ব্রিগেড। প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষকে উদ্ধার করে তাঁদের পাশে দাঁড়াতে ছুটে গিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজে গোটা পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণ করছেন মুখ্যমন্ত্রী।

কিন্তু এই অবস্থায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের পাশে আগে না দাঁড়িয়ে রাজনীতির খেলায় নেমেছে তারা। ঘটনাস্থলে গিয়ে জনরোষে পড়েন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শংকর ঘোষ। সেই ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকার ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রবল সমালোচনা করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পালটা জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি যখন মোদির বক্তব্য হাতিয়ার করে প্রচারে নেমে পড়েছে, তখন তৃণমূল পাল্টা বক্তব্যও সামনে এনেছে। লোকসভায় তৃণমূলের ডেপুটি লিডার সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার বলেন, নরেন্দ্র মোদির বিবেক নিয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় এসেছে। মানুষের দুর্দশাকে রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করার দুঃসাহস অবাক করার মতো। রাজ্য প্রশাসন যখন বন্যা ও ভূমি ধসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তখন কেন্দ্র সাহায্য না করে রাজ্যের বিরুদ্ধে সমালোচনায় ব্যস্ত। রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ সাগরিকা ঘোষ বলেন, নরেন্দ্র মোদি বিজেপির প্রধানমন্ত্রী নন, দেশের প্রধানমন্ত্রী। উনি বিজেপির প্রচারমন্ত্রীর মতো আচরণ করছেন। প্রধানমন্ত্রী কিছু না জেনেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ সামনে রেখে নোংরা রাজনীতি করছেন, যা দুর্ভগ্যজনক। এদিকে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ভয়ংকর প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটেছে। সেখানে বিজেপির প্রচারমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আচরণ অত্যন্ত নিন্দনীয়। পাশাপাশি তৃণমূল এটাও তুলে ধরেছে, সাংসদ খগেন মুর্মুকে দেখতে হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী। আমাদের কাছে রাজনীতির ঊর্ধ্বে মানবতা। সংকীর্ণ রাজনীতি নয়, সৌজন্যই আমাদের দলের সম্পদ।
তবে পালটা প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছে বিজেপি। সাংসদ ও বিধায়কের উপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে নয়াদিল্লিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অতিথিশালার বঙ্গভবনের সামনে বিজেপি নেতৃত্ব বিক্ষোভ দেখান। সেখানে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। নামানো হয়েছিল আধা সামরিকবাহিনী। কিন্তু ব্যারিকেড ভেঙে বঙ্গভবনে ঢোকার চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মীরা। সেইসসময় বঙ্গভবনের ভিতরেই আটকে পড়েন আবাসিকরা। পরে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের নিয়ে যায়। আবার ত্রিপুরার আগরতলায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় ভাঙার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। তাদের নামে ওই পার্টি অফিসে ব্যাপক তাণ্ডব চালানোরও অভিযোগ ওঠে।