অবশেষে ‘গরিব’ মায়ের প্রাণ বাঁচল স্টেশনে থাকা ২ বছরের শিশুর বুদ্ধিতে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : ২ বছরের শিশুটি সবে মাত্র হাঁটা শুরু করেছে ছোট্ট ছোট্ট পায়ে। শেখা হয়নি এমনকি কথা বলাও। সে আপাতত কাজ চালাচ্ছে ইশারাতেই। মাত্র ২ বছর বয়স হলেও সে কাজে একেবারে বড়দের মতোই। উত্তরপ্রদেশের এক শিশুর কথা হচ্ছে কথা হচ্ছে। যে সম্প্রতি এই বয়সেই বিরাট কাজ করেছে তার বাস্তব বুদ্ধির জোরেই ।তার মা ও ভাই আজ প্রাণে বেঁচেছে এই খুদের উপস্থিত বুদ্ধিতে।

রবিবার থেকে সে প্রায় সকলেরই পরিচিত সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে। ৩ রা জুলাই এই ঘটনার সূত্রপাত। বেশ কয়েকদিন ধরেই তারা থাকত উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ স্টেশনে। ভবঘুরে মহিলা স্টেশনেরই ফুট ব্রিজের এক অংশে থাকতেন তাঁর দুই সন্তানকে নিয়ে। শনিবার হঠাত্‍ই স্টেশনে উপস্থিত RPF-এর কর্মীরা লক্ষ্য করেন তাঁদের কাছে এসে কিছু একটা বোঝানোর চেষ্টা করছে একটি শিশু। কিন্তু সে কথা বলতে পারে না। শিশুটির ইশারা দেখে বেশ কিছুক্ষণ তাঁরা বুঝতে পারেন, সে তাঁদের ডাকছে কোথাও যাওয়ার জন্য। ইশারা বুঝে তাই RPF-এর বেশ কয়েকজন কর্মী তড়িঘড়ি যেতে থাকেন শিশুটির পিছনে পিছনে। ওই খুদে ছোট ছোট পায়ে সিঁড়ি ভেঙে তাঁদের নিয়ে তার মায়ের কাছে পৌঁছায়।

RPF-এর কর্মীরা সেখানে গিয়ে দেখেন, সেখানে এক মহিলা সংজ্ঞাহীন অবস্থায় মাটিয়ে শুয়ে রয়েছেন, ৬ মাসের একটি শিশু পাশে অঝোরে কেঁদে চলেছে। কোনও লাভ হয়নি মহিলা কর্মীরা জল দিয়ে তাকে ওঠানোর চেষ্টা করলেও। পরে চিকিত্‍সকদের ডেকে দুই শিশু-সহ তাদের মা’কে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই পুরো ঘটনাটির ভিডিও পরে ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই বাচ্চাটির বুদ্ধির প্রশংসা করে পুলিশ থেকে শুরু করে গোটা উত্তরপ্রদেশের মানুষ। মা অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে,হয় তো অনেকটা দেরি হয়ে যেত এটা বুঝে RPF-কে ডেকে না আনলে , বাঁচানো যেত না তার মা’কেও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *