পার্থকে কি বলির পাঁঠা বানানো হলো “অর্পিতাকে ডাবল এজেন্ট বানিয়ে? অর্পিতা কী “হানি ট্র্যাপ”?”TMC -র অন্দরে ক্রমশ ঘুরপাক খাচ্ছে এমনি প্রশ্ন
বেস্ট কলকাতা নিউজ : কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট স্কুল শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করেছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা বর্তমান শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ।পার্থকে গ্রেফতারের মুহূর্ত থেকেই হঠাৎ করে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় নামের এক স্বল্প পরিচিত প্রায় অনামী অভিনেত্রীর সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা প্রথমে তার টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে এবং পরে বেলঘড়িয়ার ফ্যাট থেকে টাকার পাহাড় উদ্ধার করে চলেছে।
কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সম্পর্ক অথবা ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বলে যে দাবি করা হচ্ছে তা থাকলেও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা এই টাকার সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সরাসরি কোন যোগাযোগ রয়েছে বলে কোন প্রমাণ এখনো পর্যন্ত দিতে পারেননি।তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তাঁর ছাত্র জীবন অথবা রাজনৈতিক জীবনে গত প্রায় তিন দশক বা চার দশক ধরে যে সমস্ত রাজনৈতিক সহকর্মীরা ঘনিষ্ঠভাবে চেনেন – গোটা ঘটনাটা ঠিক যেন বিশ্বাস হচ্ছে না তাঁদের কাছে।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থেকে টাকা নিয়েছেন কি নেননি – সেই প্রশ্নে না গিয়ে তাদের কাছে একটাই প্রশ্ন ।গত প্রায় চার মাস ধরে যেখানে সিবিআই তদন্ত চলছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে, তাঁকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করছে বারে বারে ডেকে – যদি এই টাকার সঙ্গে সত্যিই তার কোন যোগাযোগ থাকে তাহলে তিনি বিপুল অঙ্কের এই টাকা বিদেশে অথবা ভিন রাজ্যে পাঠিয়ে না দিয়ে কেন নিজের বাড়ির পাশে যার সঙ্গে তার প্রায় রোজ দেখা হয় তার বাড়িতে গিয়ে ছড়িয়ে রেখে আসবেন???
রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী হিসেবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে বহু প্রাইভেট ব্যাংক অথবা বিনিয়োগকারী শিল্পপতিদের।এমনকি মিষ্টভাষী হিসেবে পরিচিত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যথেষ্ট ভালো বলেই সুবিদিত সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী থেকে শুরু করে বিজেপি নেতার শুভেন্দু অধিকারীর ব্যক্তিগত সম্পর্ক।
ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব
পার্থ চট্টোপাধ্যায় কে তার যে সমস্ত সহকর্মীরা গত ৩০ বছর বা ৩৫ বছর ধরে ঘনিষ্ঠ ভাবে চেনেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজের নাম প্রকাশ করতে আগ্রহী না হলেও তারা ঘনিষ্ঠ মহলে আলোচনার সময় বলছেন পার্থর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে অর্পিতার, অর্পিতাকে “হানি ট্র্যাপ” হিসেবে ব্যবহার করা হয়নি তো এই জেনে ?
এমন কোন ঘটনা ঘটেনি তো যেখানে পার্থ তথা তৃণমূলকে ফাঁসানো হচ্ছে?? পার্থর সঙ্গে অর্পিতার ঘনিষ্ঠতার সুযোগ নিয়ে অর্পিতাকে কোন প্রলোভন দেখিয়ে ডাবল এজেন্ট বানিয়ে কয়েকশো কোটি টাকা বিভিন্ন ফ্ল্যাটে ছড়িয়ে রেখে। এমন আলোচনা কিন্তু শোনা যাচ্ছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ঘনিষ্ঠ ভাবে চিনতেন যে সমস্ত তৃণমূল নেতা তাদের কাছে ঢুঁ মারলেই!!