প্রেসক্রিপশনে অপরিচ্ছন্ন হাতের লেখা রুখতে তৈরি হবে সাব-কমিটি, নির্দেশ এনএমসি’র
বেস্ট কলকাতা নিউজ : প্রেসক্রিপশনে চিকিৎসকদের হাতের লেখা বুঝতে না-পারার অভিযোগ দীর্ঘদিনের ৷ রোগী তো বটেই, অনেক সময় ফার্মাসিস্টদেরও সমস্যায় পড়তে হয় ৷ এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে এবার কড়া পদক্ষেপ করল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (এনএমসি) ৷ দেশের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজে পড়ুয়াদের প্রেসক্রিপশন লেখার অভ্যাস খতিয়ে দেখতে সাব-কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ পাশাপাশি মেডিক্যাল শিক্ষার পাঠ্যক্রমেও স্পষ্ট, নিখুঁত ও পাঠযোগ্য প্রেসক্রিপশন লেখার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে বলে নির্দেশ এসেছে ৷

এনএমসি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মর্মে দেশের বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মেডিক্যাল কলেজগুলির ডিরেক্টর ও ডিনদের চিঠি পাঠানো হয়েছে ৷ নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে ড্রাগস অ্যান্ড থেরাপিউটিক্স কমিটি (ডিটিসি)-র অধীনে একটি বিশেষ সাব-কমিটি গঠন করতে হবে ৷ এই কমিটির মূল দায়িত্ব হবে—মেডিক্যাল পড়ুয়া ও ইন্টার্নদের লেখা প্রেসক্রিপশন নির্ধারিত নিয়ম মেনে হচ্ছে কি না, তা মূল্যায়ন ও তদারকি করা ৷ এ ছাড়াও প্রেসক্রিপশন লেখার ক্ষেত্রে কোনও অনিয়ম, অস্পষ্টতা বা নিয়মভঙ্গ হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখার দায়িত্বও থাকবে ওই সাব-কমিটির উপর ৷ ডিটিসি-র নিয়মিত বৈঠকগুলিতেও এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে হবে এবং সেই বৈঠকের কার্যবিবরণী এনএমসি-কে জানাতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷
এনএমসি সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে ৷ গত অগস্ট মাসে আদালত জানিয়েছিল, ভারতীয় সংবিধানের ২১ নম্বর ধারায় স্বীকৃত স্বাস্থ্যের অধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই চিকিৎসকদের লেখা প্রেসক্রিপশন স্পষ্ট ও সহজবোধ্য হওয়া প্রয়োজন ৷ আদালতের মতে, অস্পষ্ট প্রেসক্রিপশন রোগীর চিকিৎসা ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ঝুঁকি তৈরি করতে পারে ৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, এই নির্দেশ কার্যকর হলে ভবিষ্যতে চিকিৎসকদের হাতে লেখা প্রেসক্রিপশন নিয়ে বিভ্রান্তি কমবে এবং রোগীদের স্বাস্থ্যের সুরক্ষার দিক থেকেও বড় পদক্ষেপ হবে ৷

