শিলিগুড়ি পুরসভার ৩০ তম বোর্ড মিটিং এ চরম ধুধুমার কান্ড ঘটালেন বিরোধী দলের কাউন্সিলরেরা

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

শিলিগুড়ি: শিলিগুড়িতে পুরসভা ৩০ তম বোর্ড মিটিংয়ে ধুধুমার কান্ড ঘটালেন বিরোধী দলের কাউন্সিলরেরা। এদিন বিরোধীরা পুরসভায় মেয়র এবং ডেপুটি মেয়র কে একহাত নিয়ে জানালেন তৃণমূল অর্থের অপচয় করছে অথচ কোন উন্নয়ন করতে ব্যর্থ হচ্ছে। তৃণমূলের এই আচরণ মেনে নেওয়া যায় না । নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা শেষ হয় না কিভাবে সারা শিলিগুড়ি শহরকে সামলাবে তৃণমূল। দলের কাউন্সিলরেরা নিজেদের ওয়ার্ড অফিসে কতক্ষণ থাকেন তা তারা নিজেরাই বলতে পারবেন না। রোজ বেরিয়ে শিলিগুড়ি কজন কাউন্সিলর ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন তা বলায় বাহুল্য। মানুষ যে উদ্দেশ্যে ভোট দিয়ে এনেছেন তৃণমূলকে, তৃণমূল কি রাখতে পারল তাদের কথা?

এদিকে বিরোধী বিজেপি নেত্রী মঞ্জুশ্রী পাল অভিযোগ করেন এখনো পার্কিং নিয়ে কোন নির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করল না তৃণমূল , দোকানপাট নিয়ে মাঝে এগিয়ে গেলেও আবার পরে পিছিয়ে আসে তৃণমূল। কিভাবে নিজেদের আখের গোছাতে হয় সেটা ভালো মতনই জানে তৃণমূল কংগ্রেস। বিরোধীদের মধ্যে সবচেয়ে স্বেচ্ছার ছিলেন সিপিএমের কাউন্সিলর জয় চক্রবর্তী, তিনি অভিযোগ করেন তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতা এসে ক্ষমতার অপব্যবহার করছে , মেয়র এবং ডেপুটি মেয়র দুজনেই বিরোধীদের কথা শুনতে চান না। এদিন অবশ্য আশ্চর্যজনকভাবে অনুপস্থিত ছিলেন ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার। নিজের দলের কাউন্সিলর অভয়া বসুর সাথে তর্কাতর্কি হওয়ার পরে কার্যত নিজের ডেপুটি মেয়র পদটি ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন রঞ্জন সরকার। মেয়র অবশ্যই সেই রাস্তায় পা দেননি।

তবে এদিন উজ্জ্বল উপস্থিতি ছিল শিলিগুড়ি ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শ্রাবণী দত্তর । তিনি এদিন তার বক্তব্য পেশ করেন। এবং বেশ কিছু নতুন তথ্য সামনে তুলে ধরেন। এদিন ৩০ তম বোর্ড মিটিংয়ে পুরোটাই ছিল বাক বিতন্ডাতে ভরা। একদিকে তৃণমূল এবং অন্যদিকে কংগ্রেস, সিপিএম এবং বিজেপি একে অন্যকে আক্রমণ করতে পিছু পা হয়নি। বেগতিক দেখে কিছুটা তড়িঘড়ি করেই ৩০ তম বোর্ড মিটিং শেষ করেন মেয়র গৌতম দেব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *