নিজেদের সংশোধন করতে পেরেছে বামেরা, পেয়েছে ১ টি আসন, অনুব্রত মণ্ডলও খুশি বীরভূম বিজেপি শূন্য হওয়ায়

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : পুরভোটে সিপিএম ফের দ্বিতীয় স্থানে চলে এসেছে বিজেপিকে সরিয়ে দিয়ে। আর তাতেই খুশি তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও। তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিজেপি মিথ্যাবাদীর দল। তিনি এমনকি এও বলেন, সিপিএম বুঝতে পেরেছিল তারা বিরাট ভুল করেছিল ২০১৯-এ। হারে হারে তারা যন্ত্রণাও ভোগ করল যার ফলে। আজ তারা সংশোধন করতে পারল নিজেদেরকে। কিন্তু কেন বিজেপি বীরভূমে মনোনয়ন দাখিল করল না? এক্ষেত্রে তার স্পষ্ট জবাব, কারন. তারা লড়তে ভয় পায়। বীরভূমে তাদের কোনও সংগঠনও নেই।

যদিও জেলার ১১ টি আসনের মধ্যে বিজেপি একটি হলেও পেয়েছিল গত বিধানসভা নির্বাচনে , যেখানে বামেরা গোটা রাজ্যে ছিল মূলত শূন্যই। বিজেপি ফল নিয়ে এদিন তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে প্রশ্ন করা হয়, বাম এবং কংগ্রেস যদি মনোনয়ন দাখিল করতে পারে,বিজেপি কেন মনোনয়ন দাখিল করলনা? তিনি দাবি করেন, বীরভূমে বিজেপির কোনও লোক নেই, সংগঠন নেই। তিনি কটাক্ষর সুরে এও বলেন, কটা পাতাখোর, নেশাখোরকে দিয়ে কোনো সংগঠন হয় না।

তিনি আরও বলেন ,৩৪ বছরের লড়াকু দল সিপিএম সংশোধন করেছে নিজেদের। রাজনীতি নির্ভর করে মূলত সংগঠনের ওপরেই। বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি এও উল্লেখ করেন সিপিএম সব জায়গাতেই ভোট পেয়েছে বলেও।তিনি বলেন, ২০১৯-এ ভুল করেছিল সিপিএম , পরে সংশোধনও করে। ফলে ভোট পাচ্ছে সিপিএমই। নিজের বুথে সিপিএম ২০০-র ওপরে ভোট পেয়েছে বলেও অনুব্রত মণ্ডল উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সংগঠনের কারণেই সিপিএম সব জায়গাতেই মাথা চাড়া দিচ্ছে। সব ওয়ার্ডেই তারা ৪০০-৪৫০ করে ভোট পেয়েছে।

অনুব্রত মণ্ডল এদিন সিপিএম-এর প্রশংসা করতে গিয়ে বলেন, সিপিএম নরেন্দ্র মোদীর মতো মনকি বাতের দল নয়। এমনকি তিনি বলেন, লোকসভা ভোটে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। সেই কারণেই তারা বেশি ভোট পেয়েছিল সেই সময়। কীভাবে বিজেপিকে শূন্যে নামানো সম্ভব হল এই প্রশ্নের উত্তরে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, তিনি প্রচারেই বেরোননি। কংগ্রেস বহু পুরনো দল। সিপিএম যেমন ভোট পেয়েছে কংগ্রেসও পেয়েছে। এব্যাপারে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন. সেখানে ২৮ টি আসনের মধ্যে ২৫ টি পেয়েছে তৃণমূল আর কংগ্রেস পেয়েছে ৩ টি। ওটাকে পাওয়া বলে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *