সমাধান সূত্র অমিল থাকলো আলোচনার পরেও , আজ দেশব্যাপী ভারত ধর্মঘট কৃষক সংগঠনের ডাকে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি), ‘ভারত বন্ধ’-এর ডাক দিয়েছে বেশ কয়েকটি কৃষক সংগঠন। ফসলের ন্যায্য মূল্যের দাবিতে তাদের প্রতিবাদ আজ চতুর্থ দিনে প্রবেশ করল। দিল্লি এবং জাতীয় রাজধানী অঞ্চলে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। কাজেই কোনও বড় জমায়েত করা যাবে না। বন্ধ কর্মসূচির মধ্যেই কৃষকরা তাঁদের দাবি নিয়ে নয়া দিল্লিতে একটি প্রতিবাদ মিছিল করার পরিকল্পনা করেছিলেন। তবে, আগামী রবিবার সরকারের সঙ্গে ফের এক দফা আলোচনা করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে তারা। এই প্রেক্ষিতে, এদিনের মিছিল বাতিল করল তারা। কৃষক নেতা জগজিৎ সিং ডালেওয়াল বলেন, “আলোচনা চলাকালীন, আমরা যদি দিল্লির দিকে এগিয়ে যাই, তাহলে বৈঠক হবে কীভাবে? আমাদের বিক্ষোভ আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে চলবে। বৃহস্পতিবার কৃষিমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা, বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাইয়ের সঙ্গে পাঁচ ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠক করেন কৃষকরা। আলোচনায় কোনও অগ্রগতি না হলেও, অর্জুন মুন্ডার দাবি, তাঁদের আলোচনা ‘ইতিবাচক’ ছিল।
এদিকে, এদিন সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে কৃষকদের ডাকা ‘ভারত বন্ধ’। বিকাল ৪টা চলবে বনধ। প্রতিবাদী কৃষকরা দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভারতের প্রধান প্রধান সড়কগুলিতে ‘চাক্কা জ্যাম’ করবেন। কৃষক নেতা জগজিৎ সিং ডালেওয়ালের দাবি, দিল্লি, পঞ্জাব এবং হরিয়ানা সীমান্তে মোতায়েন আধাসামরিক বাহিনী তাদের উস্কানি দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সরকারের সঙ্গে আলোচনায় সমাধান বের হবে বলে আশা করছেন তাঁরা। নইলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে। আন্দোলনকারী কৃষকরা সমস্ত সমমনস্ক কৃষক সংগঠনকে বনধে সামিল হতে আহ্বান জানিয়েছে।
কৃষকদের ভারত বনধের সবথেকে বেশি প্রভাব পড়েছে পঞ্জাবে। পঞ্জাবের মোগা-সহ বিভিন্ন জায়গায় কোনও বাস পরিষেবা নেই। পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তর প্রকদেশের বিভিন্ন এলাকায় পরিবহন, কৃষি কার্যক্রম, ১০০ দিনের কাজ, বেসরকারি অফিস, গ্রামের দোকান, গ্রামীণ শিল্প ও পরিষেবা ক্ষেত্রের প্রতিষ্ঠানগুলি এদিন বন্ধ রয়েছে। ব্যাঙ্ক এবং সরকারি অফিসগুলিতেও ধর্মঘটের প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে, আন্দোলনকারী কৃষকরা জানিয়েছেন, ভারত বন্ধের সময় অ্যাম্বুলেন্স, বিয়ে, ওষুধের দোকান, স্কুল ইত্যাদির মতো জরুরি পরিষেবাগুলিতে যাতে কোনও প্রভাব না পড়ে, সেই দিকে নজর রাখবেন তাঁরা।
শুক্রবার ভারত বনধের মধ্যে, সিংঘু সীমান্তে ভারী নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে। কৃষকদের বিক্ষোভের কারণে আগেই এই সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ট্রাফিক পুলিশ যানবাহন চলাচলের জন্য বিকল্প রাস্তার কথা জানিয়েছে। তবে, বনধের জেরে গাজিপুর সীমান্ত এলাকায় ভারী যানজট তৈরি হয়েছে। কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স জানিয়েছে, ব্যবসায়ীরা তাদের কাজকর্ম চালিয়ে যাবেন। জনসাধারণ যাতে, প্রয়োজনীয় পণ্য ও পরিষেবাগুলি পায়, তা নিশ্চিত করবে তারা।