হাথরসে এলেন রাহুল গান্ধী, দিলেন আশ্বাস, চরম চাপে যোগী প্রশাসন
বেস্ট কলকাতা নিউজ : হাথরসে এলেন রাহুল গান্ধী। শুক্রবার ভোরেই নয়া দিল্লি থেকে উত্তর প্রদেশের হাথরসের উদ্দেশে রওনা দেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা। গত সোমবার হাথরসে এক ধর্মগুরুর সৎসঙ্গে পদপিষ্টের ঘটনায় ১২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার অধঘিকাংশই মহিলা, কয়েকজন শিশুও রয়েছে। এদিন, হতাহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাহুল। হাথরসের পথে আলিগড়ের পিলাখনা গ্রামে থামে তাঁর কনভয়। এই গ্রামেও পদপিষ্ট হয়ে নিহত হওয়া বেশ কয়েকজনের পরিবার থাকে। তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন রাহুল গান্ধী। আহতদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে। তারপর আসেন হাথরসে।
শোকাহত বেশ কয়েকটি পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে শোকাহত পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, তাঁদের সকল রকমের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। দলের মাধ্যমে কী কী ভাবে তাঁদের সাহায্য করা যায়, সেই সব দিক তিনি দেখছেন বলে জানিয়েছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, সেই বিষয়েও তিনি তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। শোকাহত পরিবারের সদস্যরা রাহুলকে জানান, ঘটনার সময় প্রশাসনের কেউ উপস্থিত ছিল না। তাঁরা কারও সাহায্য পাননি। এমনকি, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর, সেখানেও চূড়ান্ত অব্যবস্থা ছিল।
এদিকে, বৃহস্পতিবার উত্তর প্রদেশ পুলিশ হাথরসের ওই ধর্মসভার আয়োজকদের ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে। আলিগড় রেঞ্জের পুলিশ আইজি, শলভ মাথুর জানিয়েছেন ছয় জনই বাবাজির ঘনিষ্ঠ স্বেচ্ছাসেবক। প্রধান অভিযুক্ত দেবপ্রকাশ মধুকর এখনও পলাতক। পুলিশ তাঁকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ১ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে। শলভ মাথুর জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে একটি জামিন অযোগ্য ধারায় পরোয়ানাও জারি করা হবে।
তবে এখনও পর্যন্ত পুলিশের এফআইআর-এ নাম নেই সুরজ পাল ওরফে নারায়ণ সাকার হরি ওরফে ভোলে বাবার। এই বাবাজির সৎসঙ্গকে কেন্দ্র করেই ঘটে গিয়েছে এত বড় বিপর্যয়। তবে প্রয়োজনে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। বৃহস্পতিবার, তাঁর মৈনপুরীর আশ্রমে গিয়ে তল্লাশিও চালায় পুলিশ। কিন্তু, সেখানেও বাবাজির দেখা পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকেই আর তিনি প্রকাশ্যে আসেননি।