‘অনেক হয়েছে স্পিন বল , এবার স্পিড বল করুন’,নিয়োগ দুর্নীতিতে বিচারকের নির্দেশ সিবিআই-এর অফিসার ওয়াসিম আক্রমকে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : নিয়োগ দুর্নীতে তদন্ত চলছে প্রায় এক বছর ধরে। এতদিনে এটুকু স্পষ্ট হয়েছে যে দুর্নীতিতে একদল টাকা নিয়েছেন চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে আর এক দলকে সেই টাকা দেওয়া হয়েছে। যাঁদের টাকা দেওয়া হয়েছে, তাঁদের দ্রুত সামনে আনার কথা বললেন বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়। সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসারকে তদন্ত ত্বরান্বিত করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করা হয়েছিল কুন্তল ঘোষ, তাপস চট্টোপাধ্যায় ও নীলাদ্রি ঘোষকে। আগামী ২০ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তিনজনকে।

বিচারক এদিন তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-কে প্রশ্ন করেন, ‘টাকা যাদের কাছে গিয়েছে, তাদের থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে কি?’ আর ব্যাঙ্কের থেকে নথি পাওয়া না গেলে, ব্যাঙ্ক সাহায্য না করলে আদালতে অভিযোগ করা হচ্ছে না কেন, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।একই সঙ্গে বিচারক বলেন, আর কতদিন স্পিন বল করবেন। ওঁকে (ওয়াসিম আক্রম, সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসার) বলুন স্পিড বল করতে। ওয়াসিম আক্রম স্পিড বল করতেন।

শুনানিতে সিবিআই-এর আরও দাবি, এ ক্ষেত্রে দুটো পিলার আছে। একটি পিলার টাকা নিয়েছে, আর একটি পিলার যেখানে টাকা দেওয়া হয়েছে, মাঝে রয়েছে তারা যারা টাকা দিয়েছে। সেই পিলার জোড়ার করার কাজ করা হচ্ছে বলেই জানিয়েছে সিবিআই।

কী বললেন তাপস-কুন্তল? কুন্তল ঘোষের আইনজীবীর দাবি, এই অভিযোগ বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে ছেলেখেলা হয়েছে বলে মন্তব্য করে তিনি প্রশ্ন তোলেন, সিবিআই আর কী এনেছে সামনে? কুন্তলের পা ফুলেছে, তাই চিকিৎসার ব্যবস্থা করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে জেলে জেরা করার সময় আইনজীবীদের উপস্থিতির আর্জিও জানানো হয়েছে।
সিবিআই-এর আইনজীবী বলেন, ‘কুন্তলের আইনজীবী আদালতে মেনে নিচ্ছেন টাকা নেওয়ার কথা। আমরা সেটাই তো তদন্ত করছি।’

এদিকে তাপস মণ্ডলের তরফে আইনজীবী এদিন বলেন, ‘সিবিআই বলছে, অযোগ্যদের থেকে টাকা নিয়ে সরকারি অফিসারদের প্রভাব খাটিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। সিবিআই-এর এই বক্তব্যের সঙ্গতি নেই। আমি জামিন চাইছি।’উল্লেখ্য, এদিন কুন্তল ঘোষ আদালতের বাইরে ফের দাবি করেছেন, তাঁকে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের নাম বলতে চাপ দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, প্রভাবশালীদের নাম বলতে চাপ দেওয়া হচ্ছে, এই মর্মে তিনি একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন বিচারককে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *