অন্তত ৪০ জনের মৃত্যু বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে, এমনি চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এলো করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায়

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার তদন্ত, মৃতদেহের শনাক্তকরণের কাজ যত এগোচ্ছ, ততই বিভীষিকাময় তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। রেলের দাবি, করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২৭৫ জনের। আর তার মধ্যে অন্তত ৪০ জনের দেহে ক্ষতের কোনও চিহ্ন নেই। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। সম্প্রতি রেলের তরফে এমনই একটি তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। রেলের এক আধিকারিক জানান, বগিগুলি যখন ইঞ্জিন থেকে আলাদা হয়ে ছিটকে যায়, তখন বগির মধ্যে থাকা অবস্থাতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে যাত্রীদের।

এদিকে রেল সূত্রে খবর, মালগাড়িতে ধাক্কা খাওয়ার পর করমণ্ডল এক্সপ্রেসের বগিগুলি যখন এদিক-ওদিক ছিটকে যায়, তখন ওভারহেডের বিদ্যুতের তারের সঙ্গে বগিগুলির সরাসরি সংস্পর্শ হয়। ফলে বগির ভিতরে থাকা বহু যাত্রী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায় বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে। সেজন্যই অন্তত ৪০ জন যাত্রীর দেহে ক্ষতের কোনও চিহ্ন নেই। রেলপুলিশের (GRP) সাব-ইন্সপেক্টর পাপু কুমার নায়েক এব্যাপারে একটি এফআইআর দায়ের করেছেন। FIR-এ বলা হয়েছে, দুটি ট্রেনের ধাক্কা এবং ওভারহেড বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে এসে অনেক যাত্রী আহতও হয়েছেন। উদ্ধার অভিযানে নিয়োজিত পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, “দেহগুলি শনাক্ত করার সময় দেখা যায়, ৪০টির বেশি দেহে কোনও ক্ষতচিহ্ন বা রক্তের দাগ নেই। এঁদের অধিকাংশেরই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে।” এরকম ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন ইস্ট-কোস্ট রেলের অবসরপ্রাপ্ত চিফ অপারেশন ম্যানেজার পূর্ণচন্দ্র মিশ্র।

অন্যদিকে, ভয়াবহ এই ট্রেন দুর্ঘটনায় GRP-র তরফে কাজে গাফিলতির একটি অভিযোগ আনা হয়েছে। যদিও এফআইআর-এ অভিযুক্ত হিসাবে কারও নামের উল্লেখ করা হয়নি। ডিএসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিকের নেতৃত্বে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়। তবে বর্তমানে ঘটনার তদন্তে নেমেছে সিবিআই। মঙ্গলবার সকালেই সিবিআইয়ের ১০ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *