অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের বড় নির্দেশ থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত সাসপেন্ডেড ৫ ছাত্রকে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ‘থ্রেট কালচারের’ অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। আদালতের দ্বারস্থ হয় সাসপেন্ড হওয়া পাঁচ ছাত্র। অবশেষে পাঁচ ছাত্রকে ক্লাস করার এবং পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। তবে ক্লাসে যোগ আর পরীক্ষায় বসা ছাড়া আর কোনও কাজের জন্য কলেজে যাবেন না ওই পাঁচ ছাত্র। সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।

এদিকে আজ শুনানির সময়ে সাসপেন্ডেড ছাত্ররা আদালতে সওয়াল করেন, তারা জানান কোনও নিয়ম না মেনে ৬ মাসের জন্য তাঁদের সাসপেন্ড করে কলেজ কতৃপক্ষ অ্যান্টি র‌্যাগিং কমিটির মতামত না নিয়েই সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলেও দাবি তাদের । তাঁরা এও বলেন, “আমাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও সুযোগই দেওয়া হয়নি।” এদিন সাসপেন্ডের বিজ্ঞপ্তি খারিজ করারও আবেদন করেন তাঁরা।

পাল্টা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, কলেজের উচ্চপদস্থ কর্তাদের ১০ ঘণ্টারও বেশি সময় ঘেরাও করে রাখা হয়েছিল। সে সময়ে কর্তৃপক্ষের তরফে বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। তারপর ঘেরাও ওঠে। কলেজ কর্তৃপক্ষের আরও বক্তব্য, “আমরা চাপের মুখে তক্ষুনি সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হই। তা না হলে আমরা যদি হাসপাতাল বন্ধ করে দিতাম তাহলে রোগীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতেন। আর কোনও বিকল্প না থাকায় আমরা বিক্ষোভকারীদের দাবি অনুযায়ী পদক্ষেপ করে ওই ৫ জন ছাত্রকে সাসপেন্ড করি।” আদালতে কলেজ কর্তৃপক্ষ এটাও জানায়, “অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা অভিযোগের গুরুত্ব খতিয়ে দেখি। তারপর অনুসন্ধান কমিটি করতে হয়। তবে সাসপেন্ড হওয়া ছাত্রদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *