অবশেষে গেরুয়া শিবিরের রক্তচাপ ক্রমশ বাড়াল পালা বদলের ইঙ্গিতে , ইস্তেহারেই কিস্তিমাৎ করলো কংগ্রেস
বেস্ট কলকাতা নিউজ : কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে মোটের ওপর শান্তিতেই । তবে গেরুয়া শিবিরের রক্তচাপ ক্রমশ বাড়াচ্ছে নির্বাচন শেষে বুথ ফেরত সমীক্ষা। এদিকে স্বস্তির ইঙ্গিত কংগ্রেস শিবিরে। বুথফেরত সমীক্ষার যে ইঙ্গিত, তাতে বেশ চাপে আছে বিজেপি। একাধিক এক্সিট পোলের রিপোর্ট অনুসারে কংগ্রেস রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফিরতে চলেছে। আবার কোন কোন এক্সিট পোলের রিপোর্ট জেডিএস কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে ‘কিংমেকার’হয়ে উঠতে পারে ।কংগ্রেস একক বৃহত্তম দল হবে ম্যাজিক ফিগার না ছুঁলেও ।
মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাই কী সত্যি কুর্সি হারাতে চলেছেন? বুধবার সন্ধ্যায় ভোটগ্রহণ পর্ব শেষে বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফল প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বোমাই বলেন, “প্রতিটি এক্সিট পোলের সমীক্ষায় আলাদা আলাদা চিত্র উঠে এসেছে । তবে সম্পূর্ণ গ্রাউন্ড রিপোর্ট বিজেপিকে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়েছে। এক্সিট পোলের ফলাফল শতভাগ নিখুঁত হয় না। আমাদের কাছে আপাতত কোন পথ নেই আগামী ১৩ মে ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া। তবে আমরা ১০০ শতাংশ আশাবাদী”জয়ের ব্যাপারে । এক্সিট পোল সম্পর্কে মন্তব্য করে, বিজেপির প্রবীণ এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদিয়ুরাপ্পা এও বলেছেন, “আমি জনগণের স্পন্দন অনুভব করতে পারছি, আমরা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ১১৫টির বেশি আসন পাব এবং আমরা সরকার গঠন করব”।
এদিকে কংগ্রেস শিবিরে খুশির মেজাজ এক্সিট পোলের সমীক্ষা সামনে আসতেই । প্রবীণ কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া তার দলের জয় সম্পর্কে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করে বলেছেন “আমি শুরু থেকেই বলেছিলাম যে আমরা জিতব ১৩০-১৫০ আসন। আমরা এবার সব অঞ্চলেই ভাল পারফর্ম করব। উপকূলীয় ১৩টি জেলার মধ্যে, আমরা গত বিধানসভা নির্বাচনে জিতেছিলাম মাত্র একটি আসনে, তবে এবার আমরা জয়ী হব আরও আসনে।”
এদিকে বজরং দলকে নিষিদ্ধ করার ঘোষণা ভোটারদের প্রভাবিত করেছে কিনা তা জানতে চাওয়া হলে প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতা বলেন, “”এটি মোটেও নির্বাচনী ইস্যু নয়”। “আমাদের ইস্তেহারে আমরা বলেছি যে দল সাম্প্রদায়িক হিংসা এবং সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে উৎসাহিত করবে তাদের মোকাবেলা করা হবে কঠোরভাবে। আমরা হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে কোন বিভেদ করিনি”। কর্ণাটক কংগ্রেস প্রধান ডি কে শিবকুমার বলেছেন, “আমি এক্সিট পোলে বিশ্বাস করি না। আমি গ্রাউণ্ড রিপোর্ট পেয়েছি এবং আমরা ১৪১ আসনে জিতব”।
আবার সিনিয়র কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী একটি টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘একটি প্রগতিশীল ভবিষ্যতের জন্য বিপুল সংখ্যক ভোট দেওয়ার জন্য কর্ণাটকের জনগণকে ধন্যবাদ।” জেডি(এস) নেতা এইচ ডি কুমারস্বামী বলেন, “দল মাত্র ২৫ টি আসনে সীমাবদ্ধ থাকবে”। তার জন্য তিনি “আর্থিক সঙ্কট”কে দায়ী করেছেন।