অবশেষে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারির মামলার দায়ভার গেল সিআইডি-র হাতে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারির মামলা গেল সিআইডি-র হাতে। ইডি-র উপর হামলার অভিযোগ গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। এবার সেই মামলা হাতে নিল রাজ্য গোয়েন্দা দফতর।শাহজাহান শেখকে আজ বসিরহাট থেকে সোজা নিয়ে আসা হয় ভবানী-ভবনে। আগামী দশ দিন তাঁকে রাখা হবে সেখানে। তার কারণ এই মামলা এবার থেকে তদন্ত করবে সিআইডি। গোয়েন্দা আধিকারিকরা জেরা করবেন তাঁকে।
জানার চেষ্টা করবেন, এই তৃণমূল নেতা কাদের-কাদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে ইডি আধিকারিকদের উপর হামলা করেছিল, ইডি অফিসারদের মোবাইল, ল্যাপটপ এবং যে সকল নথি লুঠ করা হয়েছিল তা কোথায় রাখা হয়েছে, পলাতক অভিযুক্তরাই বা কোথায়। এবার থেকে সিআইডি তাঁকে বসিরহাট আদালতে পেশ করবে।
প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে যান ইডির আধিকারিকরা। অভিযোগ, শাহজাহানের নির্দেশেই একদল গ্রামবাসী ইডির আধিকারিকের উপরে হামলা করে। ভাঙচুর করা হয় ইডির গাড়ি। এরপর থেকেই খোঁজা হচ্ছিল শেখ শাহজাহানকে। কিন্তু বিগত ৫৫ দিন ধরে নাগাল মেলেনি তাঁর। গতকাল, ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে মিনাঁখা থেকে গ্রেফতার করা হয় শেখ শাহজাহানকে। পুলিশের তরফে জানানো হয়, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ১৮৬, ৩০৭, ৩৪১, ৩৪২, ৩৫৩, ৩৭৯, ৫০৬, ৩৪১, ৩৫৩, ৩২৩, ৪২৭, ৫০৬, এবং সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি আইনের ৩ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
অপরদিকে, এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার বলেন, “গত পাঁচই জানুয়ারি ন্যাজোট থানা এলাকায় অভিযানের সময় ইডি আধিকারিকরা আক্রান্ত হন। সেই ঘটনায় ইডির ডেপুটি ডিরেক্টর একটি নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ন্যাজোট থানা নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে। গত ৭-৮-৯ ফেব্রুয়ারি কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে। এরপর ইডি-র উপর হামলা ছাড়াও বেশ কয়েকটি অভিযোগ জমা পড়ে। কয়েকটি ধারায় মামলাও শুরু হয়। তবে এই মামলাগুলি সব দু’বছরের পুরনো ঘটনা।”