অবশেষে নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের বিরাট জয় বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে , আদৌ কী ইতি হল চরম বিতর্কের? উঠছে প্রশ্ন
বেস্ট কলকাতা নিউজ : অবশেষে নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের বড় স্বস্তি মিললো জমি বিবাদ সংক্রান্ত মামলায়। মূলত সিউড়ি জেলা আদালতের রায় গেল তাঁর পক্ষেই। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উচ্ছেদ সম্বলিত নির্দেশ অবশেষে খারিজ করল আদালত। তবে এই নির্দেশ নিয়ে নোবেলজয়ী বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। জানা যায়নি বিশ্বভারতীর পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কেও । ফলে ‘প্রতীচী’র জমি বিবাদ মামলার এখনই ইতি হবে, নাকি উচ্চ আদালতে যাবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এখনই তা স্পষ্ট নয়।
এদিকে প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী সরব হয়েছিলেন শান্তিনিকেতনে অমর্ত্য সেনের বাসভবনে বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল জায়গা রয়েছে বলে। এমনকি নোটিস পাঠিয়ে ওই জায়গা নোবেলজয়ীকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করতেও বলা হয়। সেই সময় অমর্ত্যে সেনের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন একমাত্র রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে অমর্ত্য সেনের জমি ছাড়ার ব্যাপারে অনড় ছিলেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। ফলে মামলা পৌঁছয় সিউড়ি আদালতে। বিশ্বভারতীয় উচ্ছেদ নোটিসের বিরুদ্ধে মামলা করেন নোবেলজয়ী। বুধবার সিউ়ড়ি জেলা আদালত সেই মামলাতেই রায় দিল। অবশেষে বিরাট জয় পেলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন।
উল্লেখ্য , আদালতের নির্দেশের পর নোবেলজয়ীর আইনজীবী বিমান চৌধুরী এও বলেছেন, ‘আমাদের আবেদন মেনে নিয়েছে আদালত। বিশ্বভারতী যে নোটিস দিয়েছিল তার বিরুদ্ধে আমরা আদালতে আবেদন করেছিলাম। সেই আবেদন অবশেষে মঞ্জুর করেছেন বিচারক।’