অবশেষে বাম-জোড়াফুল জোড়া অভিযানে কলকাতার দু’প্রান্তে , আজ তৃণমূলের ‘যুবরাজ’! বড় পরীক্ষায়

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : একই দিনে মহানগরের দুই প্রান্তে মহারণ। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, একদিকে সিজিও কমপ্লেক্সে অভিযানে সিপিএম, রাজভবনে তৃণমূল কংগ্রেস। একদিকে সঠিক তদন্তের দাবিতে বাম শিবির, অন্যদিকে ১০০ দিনের কাজ-সহ কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে রাজ্যকে বঞ্চিত করার প্রতিবাদে রাজভবন অভিযান।

২০১৯-এ সিপিএমের ব্রিগেড সমাবেশ। সেদিন ব্রিগেডে ভিড় হয়েছিল যথেষ্ট। ওই দিন বিকেলে তৎকালীন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। কলকাতা পুলিশ ও সিবিআই আধিকারিকদের মধ্যে ধস্তাধস্তি। রাজীব কুমারের বাড়ি চলে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। তারপর সিবিআই হানার প্রতিবাদে ধর্মতলায় মুখ্যমন্ত্রী বসেছিলেন ধরনায়। সন্ধ্যা থেকে সিপিএমের ব্রিগেড নয়, সিবিআইয়ের হানা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চলে আসে প্রচারের শিরোনামে।

এবার দিল্লিতে পুলিশি নিগ্রহের প্রতিবাদ ও কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হয়ে রাজভবন অভিযান তৃণমূলের। আদালতের নির্দেশে ইডি, সিবিআইয়ের নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও দ্রুত তদন্ত শেষ করার দাবিতে সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান করবে সিপিএম। হাডকো মোড় থেকে মিছিল শুরু হবে। সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন দলীয় নেতৃত্ব। এদিকে শুক্রবারই অভিষেকের নেতৃত্বে রাজভবন অভিযান করবে তৃণমূল কংগ্রেস। থাকবেন দলের বর্ষীয়ান নেতৃত্ব।

রাজ্যপালের কাছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা জানতে চাইবেন গরিবের টাকা কেন দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার? কেন বিজেপি সরকার তাঁদের বঞ্চিত করছে? বৃহস্পতিবার তৃণমূলের মিছিল শুরু হবে মোহরকুঞ্জ থেকে। মিছিল জওহরলাল নেহরু রোড, পার্ক স্ট্রিট ক্রসিং, এসপ্ল্যানেড, রানি রাসমনি অ্যাভিনিউ হয়ে রাজভবনের উত্তর গেটে পৌঁছাবে।

দিল্লিতে টানা দুদিনের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রথমবার অবস্থান, ধরনা থেকে অভিষেক-সহ অন্যদের টেনে-হিঁচড়ে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে দিল্লি পুলিশ। দলের প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে অভিষেকের এমন আন্দোলনও এটাই প্রথম। তারপর ফের রাজভবন অভিযান আজ, বৃহস্পতিবার। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একাধিকবার অভিষেককে কটাক্ষ করেছেন ‘লিফটে ওঠা নেতা’ বলে। রাজনৈতিক মহলের মতে, দিল্লির কর্মসূচির মতো রাজভবন অভিযানের কর্মসূচিও অভিষেকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। দলে অভিষেকের নেতৃত্ব না-মানার হুঙ্কার যাঁরা দিয়েছিলেন তাঁরা দিল্লিতে তাঁর গা-ঘেঁষে থেকে গলাফাটানো স্লোগান দিয়েছেন। আজও তাঁরা থাকবেন। সামনেই লোকসভা নির্বাচন, টিকিটের অনিশ্চয়তা বড় ফ্যাক্টর বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

লোকসভা ও বিধানসভা, দুই ক্ষেত্রেই এরাজ্যে সিপিএমের ভাঁড়ার শূন্য। যদিও সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জয়ে ভাগিদারী ছিল সিপিএমেরও। তা অবশ্য বেশিদিন টেকসই হয়নি। এখন দেখার বিষয় সিপিএমের সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান কতটা টেক্কা দিতে তৃণমূলের রাজভবন যাত্রাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *