অবশেষে মোদী সরকার পাকিস্তানের উপর ক্রমশ চাপ বাড়াল সিন্ধু জল চুক্তি সংশোধনে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : অবশেষে ভারত পাকিস্তানকে নোটিস পাঠাল সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে । সিন্ধু জল চুক্তির জট মূলত দীর্ঘ দিনের সমস্যা বিবাদমান দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে । এর আগে বেশ কিছু সংশোধন আটকে রয়েছে পাকিস্তানের আপত্তিতে। এই চুক্তি নিয়ে জটিলতা অব্যাহত রয়েছে দীর্ঘ ৬২ বছর ধরেই। অন্য দিকে পাকিস্তানও বেশ জর্জরিত ঋণের ভারে, অর্থাভাবে। রোজদিন সেখানকার জনজীবন বিপযস্ত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতেই নয়াদিল্লি চাপ বাড়িয়ে দিল ইসলামাবাদের উপর। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ২৫ জানুয়ারি সিন্ধু জল চুক্তির পরিবর্তন করতে ভারত পাকিস্তানকে নোটিস পাঠিয়েছিল । সংশ্লিষ্ট কমিশনারের মাধ্যমে সেই নোটিস পাঠানো হয় বলে জানা গিয়েছে। নোটিসে উল্লেখিত হয়েছে কিসেনগঙ্গা এবং রাতলে হাইড্রো ইলেকট্রিক প্রকল্পের সমস্যা সমাধানের জন্য পাকিস্তানকে পদক্ষেপ করার বিষয়টিও । গত পাঁচ বছর ধরেই আটকে রয়েছে ভারতের ওই দুটি হাইড্রো প্রজেক্ট নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া । এই বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য ভারত ইসলামাবাদকে ৯০ দিন সময় দিয়েছে। আগামী ৯০ দিনের মধ্যে ভারত এ নিয়ে আন্তঃসরকারি আলোচনায় বসতে পাকিস্তানকে আহ্বান জানিয়েছে।

মূলত ,সিন্ধু নদী হিমালয়ে উৎপন্ন হয়ে ভারতের মধ্য দিয়ে বয়ে গিয়েছে পাকিস্তানে। সে দেশের বিস্তীর্ণ সমভূমি পেরিয়ে মিশেছে আরব সাগরে। ১৯৬০ সালের সেপ্টেম্বরে সিন্ধু জল চুক্তি হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। সেই চুক্তিতে স্বাক্ষর করছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু এবং পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ আয়ুব খান।

কি ছিল সেই সেই চুক্তিতে : ভারতের উত্তরাংশে কাশ্মীর ও লাদাখ এলাকায় বহু নদী হিমালয় পর্বতের বিভিন্ন অংশ থেকে উৎপন্ন হয়ে ওই এলাকার মধ্যে দিয়ে বয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে কিছু নদী পশ্চিমে বয়ে গিয়ে পাকিস্তানে পড়েছে। কিছু নদী বয়ে এসেছে পূর্ব দিকে। দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হয় এই সব নদীর জলবন্টন ও নদীর উপর বিভিন্ন প্রকল্প সংক্রান্ত বিষয়েই । এই চুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ দুই দেশের জলবন্টনের ব্যাপারেও ।

এদিকে পাকিস্তানও চরম আপত্তি জানিয়েছিল কিসেনগঙ্গা এবং রাতলে জলবিদ্যৎ নিয়ে। বিষয়টি ঝুলে রয়েছে ২০১৫ সাল থেকেই। বিষয়ের সমাধানে পাকিস্তান নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞের প্রস্তাব দিয়েছিল। টেকনিক্যাল বিষয়গুলি আলোচনা চেয়েছিল। কিন্তু এই চুক্তি সংক্রান্ত জটিলতার সমাধানে তেমন আগ্রহ দেখায়নি ভারতের বিভিন্ন কাজে বাধা দেওয়া পাকিস্তান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *