অবশেষে সিউড়ি জেলা আদালত সাজা শোনাল আদিবাসী ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায়
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ২০১৮ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর বাতাসপুর গ্রামের এক যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে বীরভূমের সিউড়ি থানার কামাড়ডাঙ্গা গ্রামের এক আদিবাসী কলেজ ছাত্রীকে জোর করে ধর্ষণ করার।এমনকি বিজেপি মহিলা সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় সিউড়ি শহরে বিক্ষোভ মিছিলে সামিলও হন এই ঘটনার প্রতিবাদে । কামাড়ডাঙ্গা গ্রামে ও গিয়ে ধর্ষিতার সাথে কথা বলেন এবং আইনি সহযোগিতার আশ্বাস দেন। যে ঘটনার পর একটি লিখিত অভিযোগ জমা হয় সিউড়ি থানায় এবং সিউড়ি অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতারও করে থানার পুলিশ। এরপর আদালতের নির্দেশে ওই যুবকের জেল হেফাজত হয়। শুক্রবার সিউড়ি জেলা আদালত ওই যুবককে দোষী সাব্যস্ত করে এবং সাজাও ঘোষণা করে।
এদিকে আইনজীবী সূত্রে জানা গিয়েছে, দোষী সাব্যস্ত হওয়া ওই যুবক হলেন বীরভূমের সিউড়ি থানার বাতাসপুরের গ্রামের বাসিন্দা মহিত খান। ঘটনার দিন তার পিসিকে নিয়ে তার গ্রামের পার্শ্ববর্তী সালবনি জঙ্গলে ঘুরতে যান ধর্ষিতা কলেজ ছাত্রী। জঙ্গলে তার পিসি তার থেকে কিছুটা দূরে কোনও কাজে চলে গেলে দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ হঠাত্ বৃষ্টি শুরু হয়।মহিত খান সেই সময় গরু চড়াচ্ছিলেন। ওই যুবক ওই কলেজ ছাত্রীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে এমত অবস্থায় সুযোগকে কাজে লাগিয়েই। এরপর ওই কলেজ ছাত্রীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ মহিত খানকে গ্রেফতার করে তারপর দিন রাতে।
সরকারি আইনজীবী তপন গোস্বামী জানান, “ধর্ষিতা ওই কলেজ ছাত্রী একজন আদিবাসী মহিলা। তিনি যখন দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন তাকে ধর্ষণ করা হয় সেই সময়। সিউড়ি জেলা আদালত শুক্রবার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং সাজা ঘোষণা করে এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে।বিচারক ওই যুবককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছেন দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর। এর পাশাপাশি নির্দেশ দিয়েছেন ১০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা দেওয়ারও। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অনাদায়ে আরও এক বছরের জেল হেফাজতেরও। এছাড়াও জানা গিয়েছে ওই যুবতীকে তিন লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও ।