অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের ঘাটতি দূর হবে গোলমরিচে ,সঙ্গে রয়েছে অজস্র স্বাস্থ্যগুণ
বেস্ট কলকাতা নিউজ : গোলমরিচের দেখা মেলে প্রায় বেশিরভাগ বাড়ির রান্না ঘরেই। এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপকরণ খাবারের স্বাদ বাড়ানোর ক্ষেত্রে । তবে শুধুমাত্র স্বাদের জন্যই নয় সুস্বাস্থ্যের জন্য এই গোলমরিচ খুব উপকারী। ভালো ইমিউনিটি পাওয়ার দরকার কর্মব্যস্ত জীবনে শরীরকে সুস্থ সবল রাখতে হলে। আর পর্যাপ্ত মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রয়োজন সঠিক ভাবে ইমিউনিটি পাওয়ার তৈরি করতে গেলে। এই উপাদান রক্ষা করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর সাথে সিজনাল রোগ যেমন জ্বর, সর্দি-কাশি, গলাব্যথা ইত্যাদি থেকেও।
তবে চলবেনা খাবারে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের ঘাটতি হলে।বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী, অতিরিক্ত ফ্রি রেডিক্যাল ক্ষতির কারণে হতে পারে বড়সর স্বাস্থ্য সমস্যা।যেমন প্রদাহ, হৃদরোগ এমনকি ক্যান্সারও। গোলমরিচে রয়েছে পাইপারিন নামক একটি উদ্ভিদ যৌগ। গোলমরিচে শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের বৈশিষ্ট্য পাওয়া গেছে একটি টেস্ট-টিউব সমীক্ষায়। যা সাহায্য করে ফ্রি র্যাডিক্যালগুলির ক্ষতিকারক প্রভাব রোধ করতেও ।
এছাড়া দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ রোধ করতে সাহায্য করে এর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট। এই দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহের ফলে সৃষ্টি হয় বাতের সমস্যা, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এর মতো রোগে ।মস্তিস্ক সজাগ রাখতেও এমনকি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে গোলমরিচের। এক সমীক্ষা অনুযায়ী, পাইপারিন নিষ্কাশনের ফলে অ্যামাইলয়েড ফলকের গঠন হ্রাস পায় যা মস্তিষ্কে ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে এবং এটি আলঝাইমার রোগের সাথে সম্পর্কিত। তাই গোলমরিচ যথেষ্ট কার্যকরী ব্রেনের ফাংশান ঠিক রাখার ক্ষেত্রেও। এমনকি ব্লাড সুগার এবং কোলেস্টরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে গোলমরিচের পরিমিত ব্যবহার। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ইত্যাদি সম্ভাবনা বাড়ে ব্লাড সুগার বেশি হলেই। কোলেস্টেরল কমায় এমন খাদ্য পরিপূরকগুলির শোষণ বাড়িয়ে তোলে গোলমরিচের মধ্যে থাকা পাইপারিন।