আচমকাই দিল্লিতে মুকুল , মান-অভিমান না অন্য উদ্দেশ্য? বাংলার রাজনৈতিক মহলে শুরু জোর জল্পনা

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : মুকুল রায় হঠাৎ দিল্লি কেন গেলেন? এই নিয়ে রাজ্য-রাজনীতি ব্যাপক তোলপাড় গতকাল রাত থেকেই। এমনকি জোর সংশয় তৈরি হয়েছে সেখানে গিয়ে কারও সঙ্গে দেখা করবেন কিনা তা নিয়েও । প্রথমে রটে যায় এয়ারপোর্ট থেকে মুকুল রায় নিখোঁজ বলেই । সূত্রের খবর, এয়ারপোর্ট থানায় তাঁর পুত্র শুভ্রাংশু রায় বিষয়টি জানায়। তবে সূত্রের খবর লিখিত কোনও অভিযোগ হয়নি বলেই। এমনকি রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে মুকুলের দিল্লি যাওয়ার ফ্লাইটের টিকিটও।

উল্লেখ্য,একদা দলের সেকেন্ড ইন কমান্ডকে এই মুহূর্তে কোনও ভূমিকাতেই দেখা যায় না তৃণমূল কংগ্রেসে। তিনি প্রতিদিন নিয়ম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান সল্টলেকের বাড়িতে। সেখানে সারা দিন কাটিয়ে ফের বিকেলে ফেরেন কাঁচরাপাড়ার বাড়িতে।এমনকি সল্টলেকের বাড়িতে দুপুরের আহারও করেন। পুরুলিয়ার যুবক ভগীরথ তাঁর রান্না করে দেন বলে খবর। কেউ সেখানে এলে তার সাথে সাক্ষাৎ করেন মুকুল । তবে তৃণমূলের নেতৃত্ব স্থানীয়রা সেভাবে কেউ আর তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান না বলেই খবর।

সোমবার সন্ধ্যার পর হঠাৎই রটে যায় কলকাতা বিমানবন্দরে দেখা গিয়েছে মুকুল রায়কে কে। অসুস্থ মুকুল রায়ের চলে যাওয়া নিয়ে জল্পনা ছড়ায় পারিবারিক কোনও কারণে তিনি কাঁচরাপাড়ার বাড়িতে ফেরেননি। যদিও কোনো ভাবেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি মুকুলপুত্র শুভ্রাংশুর সঙ্গে।

রাতের দিকে মুকুল রায়কে দিল্লি বিমানবন্দরে দেখা য়ায়। সূত্রের খবর, তাঁর সঙ্গে ছিলেন গাড়ির চালক ও ভগীরথ। কোন উদ্দেশ্যে তিনি দিল্লি গেলেন রাজনৈতিক মহলে তা নিয়ে তীব্র গুঞ্জন ছড়িয়েছে। তবে দিল্লিতে মুকুল রায় বলেছেন, তিনি দিল্লি আসতেই পারেন। এর আগে তিনি মন্তব্য করেছিলেন, যা বিজেপি তাই তৃণমূল। মুকুল রায় তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব থাকাকালীন বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন দিল্লিতে গিয়ে । পরবর্তীতে কৃষ্ণনগরের বিধায়ক হলেও ফিরে যান তৃণমূলে। তবে দলে এখন তাঁর কোনও ক্ষমতাই নেই।

এদিকে সূত্রের খবর, দিল্লি যাওয়ার আগে তিনি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে কোনও বার্তাও দিয়েছেন। তবে কি বলেছেন তা স্পষ্ট নয়। আরো মনে করা হচ্ছে চিকিৎসার কারণেও দিল্লি যেতে পারেন বলে। তবে তিনি দিল্লি গিয়েছেন, বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করেন, নাকি শুধুই মান-অভিমান করে বাড়ি না গিয়ে দিল্লি চলে গিয়েছেন, এখন এটাই জোর চর্চার বিষয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *