আজও বিদ্যুত এসে পৌঁছায়নি নিউটাউনের এই প্রত্যন্ত এলাকায়
বেস্ট কলকাতা নিউজ : নিউটাউন নাম শুনলেই চোখের সামনে প্রথমেই ভসে ওঠে বড়-বড় রাস্তা, শপিং মল, রেস্তোরা কিংবা সুউচ্চ বহুতল। তবে এই নিউটাউনের ভিতরের গ্রাম গুলির অবস্থা জানেন? সেখানে এখনও পর্যন্ত পৌঁছয়নি আলো, পানীয় জলের অব্যস্থা, সর্বোপরি এখনও জ্বলে না আলো। দক্ষিণ ২৪ পরগণার ভাঙড় ২ ব্লক অধীনস্থ বেঁওতা ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার হাঁনাখালি, পুকুরআইট সংলগ্ন গ্রামগুলির অবস্থা দেখলে চমকে ওঠার জোগাড়।
এই সব এলাকাগুলিতে একটু সন্ধ্যা নামলেই নিমজ্জিত হয় অন্ধকারে। একটু বৃষ্টি হলেই মাটির রাস্তায় চলা অসম্ভব হয়ে পরে। গ্রাম থেকে পিচের রাস্তায় উঠতে হাঁটা খর্বাকৃতি বন্ধুর রাস্তা অতিক্রম করতে হয়। চারিদিকে মেছোভেড়ির জল আর জল। ফলত, স্কুল পড়ুয়া হোক বা সাধারণ মানুষ প্রত্যেককেই যথেষ্ট কষ্ট করে যাতায়াত করতে হয়।
হাঁনাখালি গ্রামে মোট ৪৪ টি পরিবার বসবাস করে। সেখানে ভোটার সংখ্যা ধরুন মেরে কেটে ২০০ থেকে ২৫০ এর মধ্যে। এলাকার সাধারণ মানুষের অভিযোগ, ভোট আসলে নেতাদের দেখা যায় কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনও উন্নয়ন হয়নি। চলাচলের জন্য যেমন কোন রাস্তা নেই,ঠিক তেমনি বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি কোথাও-কোথাও। মাটির বাড়ি গুলির ভগ্ন প্রায় দশা।
নিউটাউনের এত কাছে থেকে কেনো কোন উন্নয়ন হচ্ছে না? বিস্তর অভিযোগ তৃণমূলের নেতাদের বিরুদ্ধে। প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোনও কাজ করা হচ্ছে না বলে জানান গ্রামের মহিলা পুরুষরা। তৃণমূলের একশ্রেণির নেতারা আবার ঘর দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়েছে বলেও অভিযোগ। গ্রাম প্রধান শেখ সাবির আলি যদিও আশ্বাস দিয়েছেন দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে। তিনি বলেন, “গ্রামবাসী সবাই এসেছিলেন। অবস্থা দেখে আমার নিজেরই কষ্ট হচ্ছে। আমি দ্রুত শওকল মোল্লাকে বলব বিষয়টি দেখতে।” বিশ্বনাথ প্রামাণিক বলেন, “এখানে কোনও সময় প্রধান আসে না। কল, রাস্তা, বিদ্যুত, আপনারা খবর করতে অন্তত পা দিয়েছে। তার জন্য ধন্যবাদ।”
বেস্ট কলকাতা নিউজ : আজও বিদ্যুত এসে পৌঁছায়নি নিউটাউনের এই প্রত্যন্ত এলাকা