আপনার কিডনি নষ্ট হয়ে যাবে এই ৫টি অভ্যাসের কারণে ! এখনই সাবধান হন প্রাণ বাঁচাতে হলে
বেস্ট কলকাতা নিউজ: প্রতিদিনের রুটিনে আপনি হয়তো এমন কোন ভুল করছেন যার প্রভাব পড়ছে সরাসরি কিডনিতে । ভবিষ্যতে যার ফলাফল হতে পারে মারাত্মক। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন যে শরীরের জন্য ভালো নয় তা কম বেশি সবাই জানেন, তবে এমন কিছু কাজ রয়েছে যেগুলিকে মানুষ খুব একটা পাত্তা দেন না। অথচ দীর্ঘদিন ধরে করে চলা সেই কাজ পরবর্তীকালে সমস্যা তৈরি করে। মানবদেহে কিডনি একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি শরীরকে বিষাক্ত বর্জ্য থেকে পরিত্রাণ পেতে সাহায্য করে এবং রেচন প্রক্রিয়ায় অন্যতম ভূমিকা পালন করে। করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পরে অনেকের কিডনির সমস্যা দেখা গিয়েছে। এছাড়াও প্রাত্যহিক জীবনের কয়েকটি বদভ্যাস বারংবার কিডনিকে বিপদের মুখে ঠেলে দেয়। তাই কিডনি বাঁচাতে সেই সব অনুচিত কাজ গুলির দিকে একটু বিশেষভাবে নজর দেওয়া উচিত।
১. অতিরিক্ত লবণকে না বলুন: আপনি লবণ ‘না’ বলতে পারবেন না । লবণ একটি সাধারণভাবে ব্যবহৃত উপাদান , যা যে কোনো খাবারের স্বাদকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে তুলতে পারে। যদিও শরীরে লবণের স্বাস্থ্যকর মাত্রা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অত্যধিক সোডিয়াম গ্রহণের ফলে উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে, যা কিডনির মারাত্মক ক্ষতির সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দেয়। লবণের স্বাস্থ্যকর ব্যবহার বজায় রাখতে, আপনাকে অবশ্যই খাদ্যের প্রতি সচেতন হতে হবে এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার, ভাজা আইটেম ও ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলতে হবে।
২. ধূমপান : আপনি যদি নিয়মিত ধূমপায়ী হন তবে ছেড়ে দিন। আপনি নিজেকে যে ধরণের ধূমপায়ী হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করুন না কেন, সেই অভ্যাস ত্যাগ করা উচিত। ধূমপানের কারণে উদ্ভূত বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতার মধ্যে কিডনি ক্যানসারের ঝুঁকিও রয়েছে।
৩. মদ্যপানকে দূরে রাখুন : অ্যালকোহল সেবনের কারণে স্বাস্থ্যগত জটিলতা যেমন লিভারের ক্ষতি, কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা ইত্যাদি দেখা দেয। অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান কিডনিরও ক্ষতি করতে পারে। অ্যালকোহল গ্রহণের কারণে উচ্চ রক্তচাপের বিরূপ প্রভাব কিডনি ব্যর্থতার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
৪. প্রচুর ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া : সাম্প্রতিক সময়ে ব্যথানাশক ওষুধের অত্যাধিক ব্যবহার যেন সাধারণ ঘটনা হয়ে উঠেছে। যদিও এটি সত্য যে কখনও কখনও তাদের ব্যবহার অনিবার্য , তবে বিশেষজ্ঞরা যতটা সম্ভব এড়ানোর পরামর্শ দেন। কারণ ব্যথানাশক ওষুধে থাকা বিশেষ করে ননস্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগ কিডনিকে ক্ষতির ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
৫. পরিমিত পরিমাণে জল পান : মানুষের শরীরের প্রায় ৬০শতাংশ জল দিয়ে গঠিত। জল শরীরকে ভাল ভাবে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। যদি পরিমিত পরিমাণে জল পান না করা হয়, তাহলে মানুষের কিডনিও ডিহাইড্রেশনের কারণে যথেষ্ট ক্ষতি হতে পারে।