আমফানের পর বছর পার,হয়নি নতুন বাড়ি , ইয়াসে গলসির হতদরিদ্র পূজারী পরিবার অন্যের আশ্রয়ে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : দ্ররিদ্র ব্রাহ্মণ দম্পতির বাসস্থান বদলায়নি আমফানে বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর বছর ঘুরে ইয়াস এলেও। সেদিকে ফিরেও তাকায় না কেউ। যাদের নজর পড়ে, তারা ভাবে, মাটির উঁচু ঢিবির উপর আগাছা জন্মেছে। আসলে তা কিন্তু মাটির ঢিবি নয়, পূর্ব বর্ধমানের গলসি ১ নম্বর ব্লকের গলিগ্রামের হতদরিদ্র ব্রাহ্মণ ত্রিপুরারী মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি। ত্রিপুরারীবাবু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আর ওই বিপজ্জনক বাড়িতে থাকার সাহস দেখাননি ইয়াসের প্রভাবে ঝড়বৃষ্টির মধ্যে। ব্রাহ্মণ দম্পতি অন্যের আশ্রয়ে দিন কাটালেন সন্তানদের নিয়ে। যেটুকু উপার্জন হয় পুজোআচ্চা করে ত্রিপুরারীর পরিবারের দিন গুজরান হয় তা দিয়েই। স্ত্রী আশাদেবী গৃহবধূ। দম্পতির দুই সন্তান নাবালক।

তাঁদের বাড়িটি মাটির দেওয়াল আর খড়ের চালার। বাড়িটির অনেকদিন জরাজীর্ণ বেহাল দশা অর্থাভাবে মেরামতি না হওয়ার কারণে। ভগ্নপ্রায় মাটির বাড়িটি এখন মাত্র কোনওরকমে দাঁড়িয়ে আছে। আশাদেবী চোখের জল ফেলতে ফেলতে জানালেন , তাঁদের বাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে গত বছর আমফানে। বাড়ির সংস্কার করাতে পারেননি আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় । ত্রিপুরারীবাবু বিডিও অফিসে লিখিত আবেদন জমা দিয়েছিলেন সরকারি আবাস যোজনায় একটা পাকা বাড়ি পাওয়ার জন্যে । এছাড়াও ঘুরেছেন এমনকি স্থানীয় পঞ্চায়েত এলাকার নেতা, জনপ্রতিনিধি সবার দুয়ারে দুয়ারে । ঘর মিলবে বলে সবাই কথাও দিয়েছিলেন। কিন্তু তা প্রতিশ্রুতিই রয়ে গিয়েছে। গুহামানবের মতো আর বসবাস করতে পারেননি জরাজীর্ণ হয়ে পড়া নিজেদের বাড়িতে। তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে সন্তানদের নিয়ে এখন অন্যের আশ্রয়ে ঠাঁই নিতে হয়েছে তাদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *