আরও BLO নিয়োগ করা যায় কি না, রাজ্যগুলি তা বিবেচনা করুক, বিরাট নির্দেশ দিলো দেশের শীর্ষ আদালত
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন অর্থাৎ এসআইআর প্রক্রিয়ার জন্য আরও বুথ স্তরের আধিকারিক (বিএলও) নিয়োগ করা যায় না ? বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যগুলিকে এই বিষয়টি বিবেচনা করার কথা জানাল ৷ অতিরিক্ত বিএলও এই কাজে যোগ দিলে তাঁদের কাজের সময় কমে যাবে ৷ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এসআইআর-এর কাজ শেষ করতে গিয়ে প্রভূত সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে বিএলওদের ৷ এই প্রক্রিয়ার সময় বৃদ্ধি থেকে শুরু করে একগুচ্ছ দাবিদাওয়া নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকার ৷ তামিলনাড়ু, কেরল এবং উত্তরপ্রদেশের ছবিটাও একই ৷
গত ৪ নভেম্বর থেকে পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ-সহ ৯ টি রাজ্য ও ৩ টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ৷ এই আতঙ্কে ও চাপে পশ্চিমবঙ্গ-সহ একাধিক রাজ্যে বিএলওদের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে ৷ পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর-আতঙ্কে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে তৃণমূল ৷ এই আবহে এসআইআর প্রক্রিয়ার সময়সীমা ৪ ডিসেম্বর থেকে ১ ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে নির্বাচন কমিশন ৷

এদিন দেশের প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল ৷ দক্ষিণী অভিনেতা বিজয়ের রাজনৈতিক দল টিভিকে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায় ৷ তাদের বক্তব্য, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিএলওরা কাজ শেষ করতে না-পারলে নির্বাচন কমিশন জনপ্রতিনিধি আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে ৷ কমিশনকে এই ধরনের কোনও পদক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিক দেশের শীর্ষ আদালত ৷ তারা আবেদনে আরও জানায়, ইতিমধ্যে এই কাজের চাপ নিতে না-পেরে অনেকে নিজের জীবন শেষ করেছেন ৷
রাজনৈতিক দল টিভিকে’র প্রবীণ আইনজীবী গোপাল শঙ্করানারায়ণন আদালতে জানান, বিএলও’রা হয় শিক্ষক নয়তো অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ৷ নির্বাচন কমিশন তাঁদের উপর এমন চাপ দিয়েছে, যে তাঁদের কারও কারও মৃত্যু হয়েছে ৷ শুধু এখানেই শেষ নয়, বিএলওদের মধ্যে যাঁরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারছেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করছে কমিশন ৷ তাঁর বক্তব্য নোট করেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চ ৷ প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত তখন জানান, প্রয়োজনে আরও কর্মী নিয়োগ করা যায়, যাতে কাজের চাপ কমবে ৷ বেঞ্চ বলে, “দৈনন্দিন নির্ধারিত কাজকর্মের সঙ্গে এসআইআর-এর অতিরিক্ত কাজ করতে গিয়ে তাঁদের অনেক বেশি পরিশ্রম হচ্ছে ৷ রাজ্য সরকার এই খাটনি কমানোর ব্যবস্থা করতে পারে ৷” আদালত নির্দেশ জারি করে, রাজ্যগুলি অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবে ৷

