ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের কর্ণধার সামান্য এক অশিক্ষক কর্মচারী থেকে,‘চক্ষু চড়কগাছ’ হবে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত খালেকের উত্থানের কাহিনী শুনলে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : সিবিআই অবসরপ্রাপ্ত অশিক্ষক কর্মী আব্দুল খালেককে গ্রেফতার করেছে শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে মোটা টাকার লেনদেনের অভিযোগে। মালদা শহরের আভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত সানি পার্ক। সেখানেই খালেক বানিয়েছেন পেল্লাই এক বাড়ি । গত কয়েক বছর ধরে সেখানেই বাস খালেকের। চাকরি থেকে অবসরের পর মালদার তিনি একটি বেসরকারি ইংরেজি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন মিল্কি এলাকায় । এহেন প্রতাপশালী আব্দুল খালেক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকতে পারে তাঁর প্রতিবেশীরা সেটা কোনো ভাবেই ভাবতে পারছেন না । আপাতত অবসরপ্রাপ্ত ওই অশিক্ষক কর্মচারীর বাড়ি ঘিরে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
প্রতিদিনই সানি পার্ক এলাকার চায়ের দোকানে, ক্লাবের আড্ডায় এই আব্দুল খালেককে নিয়ে চলছে শিক্ষক দুর্নীতির সমালোচনা। পাড়া প্রতিবেশীদের একাংশ জানিয়েছেন , গত পাঁচ থেকে ছয় বছর আগে সানিপার্ক এলাকায় বাড়ি বানিয়েছেন আব্দুল খালেক। তিনি আগে অশিক্ষক কর্মী ছিলেন। অবসর নেওয়ার পর নিজেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলেছিলেন।আব্দুল খালেক মিল্কি হাই স্কুলের ক্লার্ক পদে কর্মরত ছিলেন। কয়েক বছর আগে অবসর নেন। পাশাপাশি মিল্কি এলাকায় বেসরকারি স্কুলেও ইংরেজি মাধ্যমে স্কুলের কর্ণধারও তিনি।
তিনি এক সময় তৃণমূলের সক্রিয় কর্মীও ছিলেন চাকরির সুযোগের সুবাদেও। এমনকি তাঁর ওঠা-বসা ছিল একাধিক নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে। সম্প্রতি সিবিআই চাকরি চুরির কাণ্ডে আব্দুল খালেককে গ্রেফতার করেছে এজেন্ট হিসাবে । সোমবার এলাকায় গেলে দেখা যায় তাঁর বাড়িতে পরিবারের কেউ নেই।
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। দক্ষিণ মালদা বিজেপির সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুরি বলেন, ‘অভিযুক্ত আব্দুল খালেক সাধারণ একটি স্কুলের সাধারণ ক্লার্ক পদে যুক্ত ছিলেন। সে তৃণমূলের ছত্রছায়ায় এসে বহু মানুষের চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছে। আমরা অভিযুক্তের শাস্তির দাবি জানাই।’পাল্টা মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র শুভময় বসুর দাবি, ‘আব্দুল খালেক কোনদিন তৃণমূল করতেন না। আজকে যে কেউ কোনও অপরাধ করছে আর নাম জড়াছে তৃণমূলের। আমরা কোনদিনও এই আব্দুল খালেককে দলের কোনও মিটি-এ দেখেনি। বিজেপি মিথ্যা অভিযোগ করছে।’