ইলেকট্রিক শক ঝিলা মাছ ধরতে! পরিবেশপ্রেমীদের চরম আশঙ্কা বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্টের
বেস্ট কলকাতা নিউজ : অসাধু মৎস্য শিকারীদের দাপটে হারিয়ে যাচ্ছে ডুয়ার্সের রুপোলি শস্য ঝিলা মাছ। ডুয়ার্সের অধিকাংশ নদীতে অবৈধ ভাবে চলছে ব্যাটারির মাধ্যমে ইলেকট্রিক শক দিয়ে মাছ শিকার। এমনই ছবি ধরা পড়েছে টিভি৯ বাংলার ক্যামেরায়। একদিকে যেমন হারিয়ে যাচ্ছে ঝিলা মাছ তেমনি মাছের পোনাও কিন্তু মারা যাচ্ছে। যতটা না মাছ ধরা পড়েছে তারচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে মাছের। যার জেরে নদীর বাস্তুতন্ত্র মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তবে এই অবৈধ মাছ শিকার আটকাতে কে পদক্ষেপ নেবে? বন দফতর নাকি মৎস্য দপ্তর? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে বিভিন্ন মহলে।
জলপাইগুড়ি বন বিভাগের অন্তর্গত মোরাঘাট জঙ্গলের কখনও ভিতর, কখনও পাশ দিয়ে একে বেঁকে বয়ে গিয়েছে নোনাই নদী, আংরাভাসা, ডুডুয়া, গরাতি। ডুয়ার্সের জলঢাকা, মামনি, গ্লান্ডি এই সমস্ত নদীতে প্রচুর পরিমানে মিলত নদীর মাছ ‘ঝিলা’। স্বাদের জন্য এই মাছের চাহিদা বাজারে প্রবল। আর এই চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে মাছের জোগান দিতে গিয়ে ব্যটারির শক দিয়ে মাছ মারার প্রবনতা বাড়ছে নদীতে। এই বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত চিন্তিত পরিবেশ প্রেমীরা। অতীতেও এ ধরনের প্রবনতা দেখা গিয়েছিল। ঝিলা মাছের দেখতে অনেকটা রুপোর মত চকচকে। তবে পাখনা ও লেজ সোনালী রঙের হয়ে থাকে। অত্যন্ত সুস্বাদু এই মাছের চাহিদাও প্রচুর। বাজারে ১০০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় এই মাছ।
যদিও বন দফতরের সূত্রে জানানো হয়েছে, জঙ্গলের আওতাভুক্ত এলাকায় বনদফতরের তরফে রুটিন মাফিফ বিষয়টি দেখা হয় ও মাছ ধরতে দেখা গেলে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তবে জঙ্গলের বাইরের এলাকা বনদফতরের এক্তিয়ারে পরে না।