উপাচার্যের লাগাতার ‘কুমন্তব্য’ উপাসনাগৃহে বসে, মোদীর দফতরের রিপোর্ট তলব বিশ্বভারতী কতৃপক্ষের কাছে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ফের চরম বিতর্কে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যবাহী উপাসনাগৃহে বসে সম্প্রতি তিনি কিছু বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন দুর্গাপুজো-সহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে নিয়ে । যা ঘিরে ব্যাপক শোরগোলও পড়ে যায়। এবার প্রধানমন্ত্রীর দফতর বিশ্বভারতীর কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল সেই মন্তব্যগুলির প্রেক্ষিতে । সূত্রের খবর, উপাচার্যের বিরুদ্ধে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট অভিযোগ জানিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর দফতর পিএমও-তে । মনে করা হচ্ছে রিপোর্ট তলব হয়েছে তার ভিত্তিতেই।
প্রসঙ্গত, কয়েক দিন ধরে বার বার উপাসনা গৃহে বসে সমালোচকদের একহাত নিয়েছিলেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। উপাসনা গৃহে থেকে ক্যাম্পাসে বসন্ত উৎসব নিয়ে তিনি বলেন, যাঁরা প্রথার কথা বলেন. তাঁরা বসন্ত উৎসবের নামে বসন্ত-তাণ্ডব চান। আমরা সেই তাণ্ডবের পক্ষপাতী নই। এর পর উপাচার্য বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী এবং আশ্রমিকদের একাংশকেও তুলোধনা করেন। এমনকি তাঁদের অশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত বলে তোপ দাগেন উপাচার্য।
দুর্গাপুজো প্রসঙ্গে উপাচার্য আরও বলেন, ব্রিটিশদের পদলেহনের জন্যই দুর্গাপুজো শুরু হয়েছিল। এছাড়াও তিনি আরও অনেক বিতর্কিত মন্তব্য করেন । শান্তিনিকেতন ট্রাস্টকে আশ্রমিক, প্রাক্তনী-সহ ১৭৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি দেওয়া হয় এরই প্রতিবাদে। ট্রাস্টের তরফে উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয় আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপাল, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী, রাজ্যের মুখ্যসচিবকে লেখা চিঠিতে । ট্রাস্টের আরও দাবি ছিল, উপাচার্য উপাসনাগৃহকে নিজের স্বার্থের জন্য ব্যবহার করে ক্রমাগত কলুসিত করছেন । এই কুকথা সম্পূর্ণ বন্ধ করা দরকার।
এদিকে সূত্রের খবর, বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অশোক মাহাতোর কাছে পিএমও-র তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে, কেন উপাচার্য এই ধরনের কথা বলেছেন। এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন বিশ্বভারতীর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়।