এক চরম কেলেঙ্কারি মেয়রের পাশের পাড়াতেই ! আমাদের পরবর্তী জেনারেশনের কথা ভাবতে হবে তো!’ বললেন সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর
গার্ডেনরিচ কাণ্ডের রেশ এখনও কাটেনি। মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। বেআইনি নির্মাণ, পুকুর ভরাটের বিষয়ে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তারপরও হুঁশ ফিরেছে কই? বেহালায় ধরা পড়ল সেই বেনিয়মের ছবি। বেহালার ১১৯ নম্বর ওয়ার্ডের জে কে পাল রোডে ধরা পড়ল সেই ছবি। প্রায় ১০ কাঠা জলাশয় আগাছা-কুচুরিপানায়-আবর্জনায় ভরে গিয়েছে। চারপাশ থেকে ফেলা হচ্ছে আবর্জনা, নির্মাণের বর্জ্য। বাসিন্দাদের বক্তব্য, জলাশয়ের গভীরতা প্রায় ১৫ ফুটের আশপাশে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই বিশাল জলাশয় এখন প্রমোটারদের স্বর্গরাজ্য। আশঙ্কা, গার্ডেনরিচ থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরে এই জলাশয় ভর্তি করেও বহুতল তৈরি হবে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসন পুরসভার আঁতাতেও জেরেই জলাশয় ভরাট হচ্ছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “এই পুকুরগুলো একের পর এক ভরাট করে দিচ্ছে। অসাধু প্রমোটারের হাত রয়েছে এর পিছনে। তার সঙ্গে একজন প্রভাবশালী প্রমোটার রয়েছেন। ওই প্রমোটারের স্ত্রী আবার কাউন্সিলর। ফলে বুঝতেই পারছেন।”ওই এলাকার আরেক বাসিন্দা বলেন, “কোনও প্রতিবাদ করতে গেলেই কখনও থানার মারফত, কখনও স্থানীয় মারফত ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। মেয়রের ওয়ার্ড থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে জলাশয় ভরে যাচ্ছে। অথচ মুখ্যমন্ত্রী-মেয়র সবাই এত বড় বড় কথা বলছেন।
আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “সংখ্যাটা আমার মনে নেই। তবে আমরা সার্ভে করে দেখেছিলাম, জলাশয় কত আসে, নির্দিষ্ট করে এসেছিলাম। সে সময় যা জলাশয় ছিল, তার ৬০ শতাংশ ভর্তি হয়ে গিয়েছে। মেয়র জানেন না, কাউন্সিলর জানেন না? মেয়র তো নিজেই একজন কাউন্সিলর ছিলেন।”
যদিও এলাকার কাউন্সিলর কাকলি বাগ বলেন, “এখান পুকুর ভরাট হওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। আমি তো পরিবেশ বাঁচানোর পক্ষেই। আমাদের পরবর্তী জেনারেশনের কথা আমরা ভাববো না? আমি যদি দেখি কোনও অনৈতিক কাজ হচ্ছে, নিশ্চয়ই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।” অন্যদিকে, ১৩ নম্বর বরো চেয়ারপার্সন রত্না শূর বলেন, “এখন পুকুর ভরাট কোনওভাবেই হয় না। আইন অত্যন্ত কড়া হয়ে গিয়েছে। আমাদের তো পুলিশকে বলা আছে। কোথাও এমন কোনও অভিযোগ দেখলেই গ্রেফতার করতে।”