এখনও অধরা পুলওয়ামা হামলায় জড়িত ৪ জঙ্গি, ৪ বছর পর বদলালো CRPF-এর নীতি
বেস্ট কলকাতা নিউজ : পুলওয়ামা হামলার চার বছর পূর্ণ হল গতকালই । ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরে ৪০ জনেরও বেশি সিআরপিএফ জওয়ান প্রাণ হারিয়েছিলেন এক ভয়াবহ জঙ্গি হামলায়। কিন্তু এরপরেও কতটা বদলেছে সিআরপিএফ-এর নীতি? জানা গেছে সিআরপিএফ-এর কাঠামো অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে চার বছর আগের সেই রক্তস্নানের পর। জওয়ানদের আরও সুরক্ষিত রাখতে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় বুলেটপ্রুফ গাড়িতে। এদিকে এই হামলা চালানো হয়েছিল যে জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়েতে, সেটিকে ভাগ করা হয়েছে মূলত ১২টি নিরাপত্তা জোনে। সেখানে সিসিটিভি লাগানো হয়েছে বিভিন্ন কৌশলগত স্থানে।
বিগত বছরের বদল নিয়ে জানাতে গিয়ে কাশ্মীর অপারেশনাল সেক্টরের সিআরপিএফ-এর ইন্সপেক্টর জেনারেল এমএস ভাটিয়া বলেন, ‘আমরা কঠোরভাবে অনুসরণ করি নিরাপত্তা প্রোটোকল ব্যবস্থা । আমরা কোনও অবকাশ ছাড়ি না কোনও ত্রুটির জন্য। কনভয়ের রুটের প্রতিটি পয়েন্ট রয়েছে হয় শারীরিক বা ইলেকট্রনিক নজরদারি। যদি আমরা নজরদারির সময় কোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপ দেখতে পাই, তাহলে আমাদের দলগুলি সেই ঝুঁকিকে কুঁড়ি থেকে নির্মূল করতে পারে । এবং আমরা সর্বদা প্রস্তুত যেকোনও অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধ করতে।’ এদিকে সিআরপিএফ-এর এই বদল প্রসঙ্গে এক কর্তা বলেন, ‘হামলার কয়েক সপ্তাহ পরই উত্ত পর্যাের বৈঠক হয়। ভবিষ্যতে এই ধরনের হামলা ঠেকাতে সিআরপিএফ, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো এবং অন্যান্য সংস্থাগুলির একটি বৈঠকটি করেছিল। বিশেষ করে কনভয় চলাচলের জন্য একটি নতুন স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি চালু করা হয়েছিল। এটি অনুসরণ করেই বর্তমানে কাজ চলছে।’
এদিকে নিহত সিআরপিএফ জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানাতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পুলিশের এডিজিপি বিজয় কুমার গতকাল জানিয়েছেন, এই হামলায় জড়িত ১৯ সন্ত্রাসবাদীর মধ্যে, আটজন নিহত হয়েছেন, সাতজন গ্রেফতার হয়েছেন এবং একজন স্থানীয় সন্ত্রাসবাদী-সহ চার জন সন্ত্রাসবাদী এখনও জীবিত রয়েছে। তিনি বলেন, ‘যে চারজন জঙ্গি এখনও জীবিত আছে তাদের মধ্যে তিনজন পাকিস্তানি। যাদের নাম আজাহার মাসুদ, ফারুক মাসুদ এবং আলভি। এছাড়া একজন পুলওয়ামার বাসিন্দা। সেও এখনও জীবিত এবং পাকিস্তানে আছে।’