এখন আর ভিনরাজ্য পাড়ি নয় কাজের সন্ধানে ,কর্মসংস্থানের বিপুল জোয়ার আসতে চলেছে বাংলার এই প্রান্তে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : বাংলার এই প্রান্তে তৈরি হয় মূলত খাট, আলমারি থেকে শুরু করে ঘর সাজানোর আধুনিক কাঠের সরঞ্জাম । এতল্লাটের সুদৃশ্য-টেকসই আসবাব রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি ভিনরাজ্যেও রফতানি করা হয়। এলাকায় ছোট-বড় বহু কাঠের সরঞ্জাম তৈরির কারখানা রয়েছে। সেখানে কাজ করে সংসার চলে কয়েক হাজার পরিবারের। এবার রাজ্যের এই এলাকাটি নিয়েই আরও বড় ভাবনা প্রশাসনের। আগামী দিনে কর্মসংস্থানের জোয়ার বইবে রাজ্যের এই প্রান্তে, আশাবাদী প্রশাসনিক কর্তারাও।
মূলত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়াব্লক ও শহরাঞ্চলে রয়েছে একগুচ্ছ ছোট-বড় কাঠের সরঞ্জাম তৈরির কারখানা । পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাশাপাশি এরাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের শিল্পীরা পাঁশকুড়ায় কাঠের সরঞ্জাম তৈরি করে থাকেন। পাঁশকুড়ার কারখানা থেকে তৈরি কাঠের সরঞ্জাম এরাজ্য ছাড়াও রফতানি করা হয় প্রধানত দেশের একাধিক রাজ্যে । পাঁশকুড়া ব্লক ও শহর এলাকায় গড়ে উঠেছে প্রায় ২৫ থেকে ৩০টির মতো ছোট বড় কারখানা ।
এমনকি লাগোয়া পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে ‘স্বর্ণ হাব’ গড়ে তোলার আবেদন জানানো হয়েছিল। সেই মতো রাজ্য সরকার ‘স্বর্ণ হাব’ গড়ে তোলার প্রস্তুতিও শুরু করেছে। স্বর্ণ হাবের মতো যাতে পাঁশকুড়ায় ‘উডেন হাব’ গড়ে তোলা যায় এবার সেব্যাপারেও আবেদন জানানো হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। এখানকার একটি কারখানার মালিক জামির ইসলাম এও জানান, দীর্ঘদিন ধরে পাঁশকুড়ায় কাঠের নানা ধরনের সরঞ্জাম তৈরি হয়ে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে রফতানি হয়ে থাকে। রাজ্য সরকার যদি ‘উডেন হাব’ গড়ে তোলার ব্যবস্থা করে তাহলে অনেকে উপকৃত হবে। এমনকি বাড়বে কর্মসংস্থানও। এদিকে পাঁশকুড়া পুরসভার প্রশাসক নন্দকুমার মিশ্র বলেন, “পাঁশকুড়া ব্লক ও শহর এলাকায় ছোট-বড় বহু কারখানা রয়েছে। সেখানে বহু মানুষ কাজ করে স্বনির্ভর হচ্ছেন। আগামীদিনে যাতে সরকারি উদ্যোগে ‘উডেন হাব’ গড়ে তোলা যায় সেদিকে আমাদের নজর থাকবে। উডেন হাব গড়ে উঠলে কর্মসংস্থানও বাড়বে।”